ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘বিআইডব্লিউটিসি ২৮০ কোটি টাকায় তিনটি ক্রুজ শিপ সংগ্রহ করবে’

সচিবালয় প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১  
‘বিআইডব্লিউটিসি ২৮০ কোটি টাকায় তিনটি ক্রুজ শিপ সংগ্রহ করবে’

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ২০২৩ সালের মধ্যে ২৮০ কোটি টাকায় তিনটি ক্রুজ শিপ সংগ্রহ করবে। এসব শিপে থ্রিডি সিনেমা হল, জিম, সুইমিংপুল, হেলিপ্যাডসহ সব ধরনের সুবিধা থাকবে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীর পাড়ে অনেক ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এজন্য তাদের কিছুটা সুযোগ দিতে চাই।  কারণ এক সময় অনেকে ভাবেননি নদীরও নিজস্ব জায়গা আছে। এই ভাবনার জায়গাটা তৈরির দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রের।  রাষ্ট্র অনেক দিন সেই জায়গাটা তৈরি করেনি। নদীর সীমানা পিলারের মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে ভবিষ্যতে তাদের প্রতিষ্ঠান সরাতে হবে।  আমরা পিলার দিচ্ছি।  পিলার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হয়নি।

নদীর সীমানা নির্ধারণ করে যে খুঁটি বসানো হয়েছে, সেই সীমানার মধ্যে কারও স্থাপনা থাকলে তা অবশ্যই সরাতে হবে।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু রাঘববোয়াল নয়, সাধারণ মানুষও নদী দখল করে আছেন।  সাধারণ মানুষ হয়তো জানেনই না নদী দখল করে আছেন।  অনেকে নদীর ২০০ ফুট ভেতরে চলে গেছেন অসাবধানতার কারণে।  জোর যার মুল্লুক তার ছিল।  এখন আর তা নেই।  ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে আবেদন করলে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।  যারা শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে তাদের আমরা সুযোগ দিয়েছি। তারা সুযোগের সঠিক মূল্যায়ন না করলে অনেক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে।

নদীর জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীতে থাকা এসব প্রতিষ্ঠান হঠাৎ বন্ধ করে দিলে তারা যেসব জিনিস উৎপাদন করে সেসবের দাম বেড়ে যাবে। তার মানে এই না আমরা তাদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করেছি।   নারায়ণগঞ্জে অনেকগুলো সিক ইন্ড্রাসট্রি ছিল, যেগুলো অল্পদামে বিনিয়োগকারীদের কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।  এখন সেগুলো আবাসিক প্লটে পরিণত করা হয়েছে। যে মানুষটি সেখানে ফ্ল্যাট কিনেছেন তার কি অপরাধ? এসব দেখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল।  সেই দায়িত্ব রাষ্ট্র পালন করেনি বলে এই সরকারের ওপর এখন বিরাট বোঝা পড়েছে।  আমরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না করে ধারাবাহিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।  কোনো কম্প্রোমাইজ করছি না। 

খালিদ মাহমুদ বলেন, শুধু নদীর জায়গা নয়, যে কোনো অবৈধ দখলে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি। ঢাকার চারপাশের নদীর পাশ থেকে অবৈধ দখলদারদের এখনো পুরোপুরি উচ্ছেদ করা হয়নি। কিছু মামলা মোকদ্দমা আছে, সেগুলো নিয়ে আইনজীবীরা কাজ করছেন।  আমরা আশা করি সফলতা দেখাতে পারব।

নৌপথগুলো সচল করতে বিনিয়োগ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ড্রেজিং হচ্ছে।  এর সুফলটাও আমরা পেতে শুরু করেছি।  অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানি এবার বন্যায় রূপ নেয়নি।  পানির প্রবাহ নিশ্চিত হয়েছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি ও নদীকে ঘিরে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে বন্যা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাব। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর স্প্যানে ফেরির মাস্তুলের ধাক্কা লাগার কথা বলা হলেও সেই তথ্য ঠিক ছিল না। মাস্তুল নয়, সিগন্যাল লাইট নামানোর সময় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল। স্প্যানে ধাক্কা লাগেনি।

 আসাদ/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়