ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মন্ত্রী বলছেন এক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছেন অন্য কথা

জ্যেষ্ঠ প্রতি‌বেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ২০:০৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
মন্ত্রী বলছেন এক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছেন অন্য কথা

১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীসহ সবাইকে টিকা দেওয়া নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণার একদিন পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। টিকা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটিসহ অন্যান্য সবার পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর এব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম রোববার ভার্চুয়াল বুলেটিনে বলেন, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

যদিও একদিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স বলেছেন, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে স্কুলগামী ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী সপ্তাহেই এই বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করা হবে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার কার্যালয় প্রাঙ্গণে পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, যেহেতু স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হয়েছে। কাজেই আমাদের শিশুদের নিরাপদ রাখতে তাদেরও টিকার আওতায় আনতে হবে। শিশুদের উপযোগী আমেরিকার তৈরি ফাইজারের টিকা তাদের দেয়া হবে। সে অনুযায়ী টিকা আনার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আমেরিকার ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের। এজন্য আমরা কাজ করছি।

১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, টিকা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটিসহ অন্যান্য সবার পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

এই কর্মকর্তা বলেন, পুরো সপ্তাহের প্রথম দুদিন শনাক্তের হার সাত শতাংশের কিছুটা বেশি ছিল, এরপরের দিনগুলোতে থেকে ছয় শতাংশ বা এর চেয়ে কিছুটা বেশি। সামগ্রিকভাবে গত ৩০ দিনের সংক্রমণের যে চিত্র সেটা এই মুহূর্তে নিম্নমুখী প্রবণতাতেই আছে। এই শনাক্তের হার যদি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রাখা যায় তাহলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার যে প্রচেষ্টা চলছে, সেটা বেগবান হবে।

জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি রোগী দেখা গিয়েছে গত জুলাই মাসে। সে মাসে শনাক্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন, আর সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৬৮২ জন।

জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংক্রমণের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ জেলার মধ্যে ঢাকা জেলা সবার শীর্ষে রয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, এ জেলায় এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ১৩ হাজার ৯৪২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর শীর্ষ ১০ জেলার তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে নোয়াখালী জেলা, এ জেলায় শনাক্ত হয়েছে ২২ হাজার ৬২৯ জন। করোনাতে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছর এবং ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের সংখ্যাই বেশি।

ঢাকা/মেসবাহ/এমএম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়