ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১  
‘ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার’

গণপরিবহনকে প্রাধান্য দিয়ে বর্তমান সরকার ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সরকার গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দিয়ে মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজের আওতায় এবং উন্নত আধুনিক বাস সার্ভিসের মাধ্যমে গণপরিবহন ভিত্তিক শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনকেও এগিয়ে আসতে হবে। ফুটপাতগুলো হাঁটার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন।  সড়কে গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আমাদের স্টাডি করা প্রয়োজন। ডিটিসিএ সব অংশীজনদের সাথে নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করলে মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা করা হবে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতি বছর ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সমন্বয়ে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়।  এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হল ‘গণপরিবহনে ও হেঁটে চলি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত করি’।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো.  তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, ডিএমটিসিএল এর কোম্পানি সচিব, বিআরটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন, স্থপতি ইকবাল হাবিব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আকতার মাহমুদসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি।

ডিটিসিএ এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজ, প্রয়োজনীয় সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং মানসম্মত ফুটপাত তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ চলমান রয়েছে। এগুলি সম্পন্ন হলে ব্যক্তিগত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আমাদের মেট্রোরেল স্টেশন, বিআরটি স্টেশন ও বাস স্টপেজ এর সাথে সংযুক্ত সব সড়কে অন্তত ১০ মিনিটের নিরবচ্ছিন্ন প্রশস্ত  হাঁটাপথ (ফুটপাত) নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেই সাথে ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর কনজেশন চার্জ, বাস টার্মিনালের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া গ্রহণ, ঢাকা মহানগরে রাস্তার ধারণক্ষমতা অনুযায়ী গাড়ির সংখ্যা নির্ধারণে সমীক্ষা জরিপ পরিচালনা করা প্রয়োজন। পরিশেষে তিনি পরিবহন সিস্টেম ও পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে সব সংস্থাকে শুরু থেকেই ডিটিসিএ’র সাথে সমন্বয় সাধনের কথা বলেন।

ড. এস এম সালেহউদ্দিন বলেন, ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের তাৎপর্য আমাদের বুঝতে হবে। পথচারীকে প্রাধান্য দিয়ে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, আমাদের যেটুকু সড়ক আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। এনএমটি ও পথচারীকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সড়কে যে মাধ্যমগুলোতে মানুষ বেশি যাতায়াত করে সেই মাধ্যমকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

ড. আকতার মাহমুদ বলেন, কার ফ্রি ডে এর দর্শন সব ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।  ঢাকা শহরে প্রায় ৪০% ট্রিপ ২ কি:মি: এর মধ্যে সংঘটিত হয়। প্রতিটি ট্রিপ হেঁটে শুরু হয়। তাই পথচারীকে প্রাধান্য দিয়ে ফুটপাতগুলোকে চলাচলের উপযোগী রাখতে হবে।

ড. মো. হাদীউজ্জামান বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ির প্রবৃদ্ধিও হার ৫.২ শতাংশ।  ২০৩০ সালে সাড়ে ৩ লক্ষ্য ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় চলাচল করবে। এ বিশাল সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন হবে তা আমরা দিতে পারবো না।  এজন্যই এখনই সময় ব্যক্তিগত গাড়িকে নিয়ন্ত্রণ করা।

হাসান/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়