ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

টিসিবির পণ্য বিক্রির শুরুতেই অব্যবস্থাপনা, ক্ষোভ ক্রেতাদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪০, ২৩ জুন ২০২২  
টিসিবির পণ্য বিক্রির শুরুতেই অব্যবস্থাপনা, ক্ষোভ ক্রেতাদের

ফাইল ছবি

ঢাকায় ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির শুরুর দিনে অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অনেক স্থানে পরিবেশকেরা পণ্য বিক্রি শুরু করতে পারেননি। আবার অনেক জায়গায় পণ্য বিক্রি শুরু হলেও অনেকেই কার্ড না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন।

বুধবার (২২ জুন) ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রির প্রথম দিনই মিরপুর এলাকায় বেশিরভাগ ক্রেতাই ফিরেছেন খালি হাতে। 

জানা গেছে, এবারের টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রমের প্রথম দিন মিরপুর এলাকায় ৭ জন পরিবেশকের মধ্যে পণ্য দিতে পেরেছেন মাত্র দুজন। খুঁজে পাওয়া যায়নি একজন পরিবেশকের দোকান। নানা জটিলতার কথা জানিয়ে পরিবেশকরা বলছেন, বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) থেকে তারা আশা করছেন, পণ্য দেওয়া পুরোদমে শুরু করতে পারবেন।

টিসিবির তালিকায় এক নম্বর সারিতে মিরপুর-১২ নম্বর  সেকশনের ৭ নম্বর রোডের মেসার্স বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোরের নাম থাকলেও সাত নম্বর রোডে এমন কোনো দোকান খুঁজে পাওয়া যায়নি।  ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সাত নম্বর রোডে তিনটি মুদি দোকান থাকলেও উল্লিখিত নামে কোনো দোকানের কথা বলতে পারেনি স্থানীয়দের কেউ। টিসিবির তালিকায় থাকা মেসার্স বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোরের যে ফোন নম্বর দেওয়া ছিল, সেটাও বন্ধ পাওয়া গেছে।

মিরপুর কাজীপাড়ার মনিপুর মোল্লাপাড়া এলাকার পরিবেশক মেসার্স রানা স্টোরও প্রথম দিন পণ্য দিতে পারেনি। কারণ হিসেবে টিসিবির এই পরিবেশক জানান, তিনি অসুস্থ ছিলেন, তাই টাকা জমা দিতে পারেননি। তবে বৃহস্পতিবার তার এক আত্মীয় গিয়ে টাকা জমা দিয়ে পণ্য তুলবেন। 

আরেক পরিবেশক মিরপুর-১ নম্বরের মেসার্স জাকির রাইস এজেন্সি মাত্র চারজন ক্রেতাকে পণ্য দিতে পেরেছেন। জাকির নামের এই পরিবেশক বলেন, দুপুরের পর থেকে বিক্রি শুরু করেছি। আজ মানুষ খুব কম এসেছে, আশা করছি বৃহস্পতিবার থেকে ভোক্তার পরিমাণ বাড়বে। ওই এলাকার কমিশনার এখনও কার্ড দেওয়া শেষ করতে পারেননি বলেও জানান এই পরিবেশক।

কিন্তু ব্যতিক্রম তথ্য পাওয়া গেছে, মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের টিসিবি পরিবেশক শহিদুল ইসলামের কাছে। তিনি জানান, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার দোকান থেকে তিনি ৩৪৮ জন ক্রেতাকে পণ্য দিয়েছেন।এই পরিবেশক জানান, যতক্ষণ কার্ড আসবে ততক্ষণ দেবো। এক হাজার কার্ডের মানুষের জন্য পণ্য দিয়ে গেছে আজ। এর মধ্যে প্রতি কার্ডের বিপরিতে তেল ২ লিটার, ডাল ২ কেজি ও চিনি ১ কেজি করে দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

টিসিবি থেকে বিকালে পণ্য পাওয়ার কারণে মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশনের মেসার্স নাফিজ স্টোর থেকে প্রথম দিন কাউকে পণ্য দিতে পারেননি বলে জানান, মো. রানা। তবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

স্থানীয় কাউন্সিলরের নির্দেশনা না পাওয়ায় বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি বলে জানান, মিরপুর বাউনিয়াবাঁধ এলাকার লাবনী এন্টারপ্রাইজের মালিক জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলেই পণ্য পেয়েছি। কিন্তু কাউন্সিলরের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করবো।

একই এলাকার পরিবেশক মেসার্স খান জেনারেল স্টোরের মালিক গোলাম রসুল জানান, টিসিবি থেকে বিকেলে পণ্য পেয়েছি, এখনও সেসব পণ্য নামাচ্ছি। টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো ঠিক করে বৃহস্পতিবার  থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করবো।

বিভিন্ন এলাকার পরিবেশকদের সময় মতো পণ্য না পাওয়া, বিক্রি কার্যক্রম শুরু করতে না পারা, কাউন্সিলরদের কার্ড দেওয়া শেষ না করতে পারা- এসব বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির বলেন, প্রথম দিন কিছুটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি বৃহস্পতিবার থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে। নির্ধারিত পরিবেশকের দোকানে গেলেই কার্ডধারী ভোক্তারা  নির্ধারিত দামে পণ্য কিনতে পারবেন।

/মেয়া/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়