ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘মাদকের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১১, ২৬ জুন ২০২২  
‘মাদকের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (ফাইল ফটো)

মাদকের সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আইস নামে একটি ভয়ঙ্কর মাদক মিয়ানমার থেকে আসছে। মিয়ানমারকে আমরা বহু অনুরোধ করেছি, তারা অনেক কথা বলেন, কিন্তু কোনোটাই তারা কার্যকর করেন না। প্রতিশ্রুতি অনেক কিছুই দেন, কিন্তু কোনোটাই কার্যকর করেন না। বাংলাদেশে তাদের ইয়াবা সরবরাহ বন্ধ করার জন্যও বারবার বলা হয়েছে।’

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২২ উপলক্ষে রোববার (২৬ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ফাঁক-ফোকর দিয়ে ইয়াবা আনার চেষ্টা করছেন। যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি, সেখানে আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছি। বর্ডার লাইনে সেন্সর করারও পরিকল্পনা আমাদের আছে।’

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। ২১ হাজার ৯৯২ জনের বিরুদ্ধে ২০ হাজার ৫৯২টি মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ নয়। বাইরের দেশ থেকে বিভিন্ন পথে মাদকদ্রব্য পাচার হয়ে আসে। আমাদের দেশে মাদক পাচার এবং এর ব্যবহার বন্ধে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, কাস্টমস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘মাদকের অপব্যবহার রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং মাদকাসক্তির চিকিৎসার বিষয়ে সর্বসাধারণকে অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত ‘‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’’ বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। মাদকের কবল থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং মাদকের ভয়াবহতার মর্মস্পর্শী ও করুণ চিত্র বিশ্বের সর্বস্তরের জনগণের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে মাদকবিরোধী ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাই এ দিবস পালনের মূল লক্ষ্য। দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘‘অ্যাড্রেসিং ড্রাগ চ্যালেঞ্জেস ইন হেলথ অ্যান্ড হিউম্যানিটেরিয়ান ক্রাইসিস’, এর বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে, ‘‘মাদকসেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি’’।’

মাদকাসক্তদের চিকিৎসাসেবা বাড়াতে সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি নিরাময়কেন্দ্রের লাইসেন্স সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে, জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিগুলো মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রগুলো নিয়মিত মনিটর করছে। মাদকাসক্তদের চিকিৎসার একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকা জরুরি বিবেচনায় জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক, মাদকাসক্তদের চিকিৎসার পদ্ধতি সম্পর্কে জাতীয় গাইডলাইন তৈরির জন্য একটি কারিগরি কমিটি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে কর্মশালা ও সভা করে গাইডলাইনের খসড়া চূড়ান্ত করছে।’

নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়