ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘তাঁতীদের উন্নয়নের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে সরকার’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০২, ৫ জুলাই ২০২২  
‘তাঁতীদের উন্নয়নের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে সরকার’

ছবি: রাইজিংবিডি

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, জামদানি ও মসলিন শাড়ি বাংলাদেশের ঐতিহ্য, এতে বাঙালিত্ব প্রকাশ পায়। তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ও তাঁতীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।

সোমবার (৪ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে তাঁতীদের সরাসরি অংশগ্রহণে জামদানি প্রদর্শনী কেন্দ্র ‘টানাপোড়ন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তারাব পৌরসভার মেয়র মিসেস হাছিনা গাজী, পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, এক সময় এদেশের তৈরি ঢাকাই মসলিনের সারা বিশ্বে কদর ছিলে।  বিভিন্ন কারণে প্রায় ১৭০ বছর পূর্বে এই গৌরবময় ঢাকাই মসলিন হারিয়ে যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে মসলিন সূতা তৈরির তুলার জাত উদঘাটন এবং তুলা দিয়ে ৭০০-১০০০ কাউন্টের সুতা তৈরিসহ মসলিন শাড়ি তৈরির প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে। দেশের সাধারণ তাঁতীদের মাঝে এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভায় ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ স্থাপন করেছি। একটি মসলিন শাড়ি তৈরি করতে প্রথমে সুতা তৈরি করতে হয় এবং পরে বুনন কাজ চলে। একটি মাঝারি মানের মসলিন শাড়ি তৈরি করতে ৫-৬ মাস সময় লেগে যায়। ফলে শাড়ির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। আমরা চেষ্টা করছি, বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে মসলিনের স্বকিয়তা ঠিক রেখে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। এই সেতু অর্থনীতিতে নতুন বিনিয়োগ বাড়াবে পাশাপাশি বাড়াবে দেশের প্রবৃদ্ধির হার। পদ্মা সেতুকে সামনে রেখে শিল্পায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে চায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায়  ১২০ একর জমির উপর ‘শেখ হাসিনা তাঁত পল্লি’ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় তাঁতীদের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। তাঁতীদের জন্য থাকবে আবাসিক ভবন, তাঁত শেড, ডরমেটরি, রেস্ট হাউস, সাইবার ক্যাফে ও বিদ্যুতের উপকেন্দ্র। তাঁতপল্লীতেই সপ্তাহে দুই দিন তাঁতপণ্যের হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সে হাটে সুতাসহ সবধরনের কাঁচামাল বিক্রয় ও প্রদর্শন করা হবে। তাঁতের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে পোশাক তৈরি ও বিক্রি পর্যন্ত সব ব্যবস্থাই করা হবে।

/আসাদ/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়