ঢাকা     শুক্রবার   ২৪ মার্চ ২০২৩ ||  চৈত্র ১১ ১৪২৯

‘ইজারাদারদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে হাটের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ৯ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১৫:১৪, ৯ জুলাই ২০২২
‘ইজারাদারদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে হাটের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে’

পশুর হাটের ইজারাদারদের নিজ দায়িত্বে ১২ ঘণ্টার মধ্যে হাটের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। 

শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে আফতাবনগর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশ দেন। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। 

মেয়র বলেন, 'ডিএনসিসিতে দশটি পশুর হাটেই বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। হাটগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। যারা পশু কিনতে ও বিক্রি করতে আসছেন অবশ্যই তাদের সবাই‌কে মাস্ক প‌রে হা‌টে আস‌তে হ‌বে। ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে ১০০ জন করে মোট এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনাসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছে ‘

তিনি আরো বলেন, 'ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ ও সহজ লেনদেন নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো ডিএনসিসির ৬টি হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বুথগুলোতে কোন চার্জ ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা লেনদেন করা যাচ্ছে। এর ফলে ঝুঁকি নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের নগদ টাকা বহন করতে হবে না।'

হাটগুলোতে পশুর চিকিৎসার জন্য একটি করে মেডিকেল টিম রয়েছে বলেও তিনি জানান। 

আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ইজারাদাররা তাদের নিজ দায়িত্বে ১২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ করবেন। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কার না হলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তাদের জমাকৃত অর্থ বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে।'

এসময় তিনি আরও বলেন, 'ঈদে বিপুল পরিমান বর্জ্য অপসারণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করার সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এর জন্য দশ হাজার কর্মী কাজ করবে। ৬০০ যানবাহন,  পঁচনশীল পলি ব্যাগ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন রয়েছে। সবার সহযোগিতায় কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে।'

নগরভবনে একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে ডিএনসিসি’র মেয়র বলেন, 'কন্ট্রোলরুমে ফোন করে সবাই বর্জ্য সংক্রান্ত তথ্য জানাতে পারবেন। নাগরিকদের ফোনকল পেলে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কন্ট্রোলরুমের ৩টি ফোন নম্বর: ১৬১০৬, ০২-৫৫৫০৫২০৮৪, ০৯৬০-২২২২৩৩৩।'

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

মেয়া/ মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়