ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ২০ মার্চ ২০২৩  
নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকে নির্বাচনী ভীতিতে পেয়েছে। এ কারণে তারা ভোটের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।

সোমবার (২০ মার্চ) ‘সড়ক নিরাপত্তা রিপোর্টিং’ শীর্ষক সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবনে এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি)।

‘নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি’- মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে আসলে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। ভীতি পাওয়াটাও স্বাভাবিক। কারণ ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি পেয়েছিল। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে তারা ৩০টি আসন অতিক্রম করতে পেরেছে।

‘‘২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করে। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো মানুষকে ‘হায়ার’ করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা মহিলা আসনসহ মাত্র ৭টি আসন পেয়েছিল।’’

‘বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে সাফল্য কতটুকু হতে পারে সেটি জানে। সে জন্য তাদের নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। ফলে ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে তারা।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে ভোটে অংশ নিক। অন্য সব গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে এখানেও নির্বাচনকালীন সরকার হবে চলতি সরকার এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেখানে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

‘আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কথা শুনলে একাত্তরের শান্তি কমিটির কথা মনে হয়’- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা সাহেবের বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। স্বাধীনতার পর মির্জা ফখরুল সাহেবও অনেক দিন আত্মগোপনে ছিলেন। এজন্য ওনার বেশি বেশি শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে।

‘বিএনপি যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি করে, হয় নিজেরা মারামারি করে অথবা পুলিশের সঙ্গে মারামারি করে। কিন্তু দেশে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতি বজায় থাকে সে জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে।’

এর আগে সেমিনারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক, আইন রক্ষাকারীসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আল মাহবুব উদ্দীন আহমেদ, বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার, বার্তা সংস্থা ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বিআরটিএ পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রাব্বানী, এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভলপমেন্ট (এআইবিডি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাবিল তিরমাযি, এনআইএমসি পরিচালক ড. মো. মারুফ নওয়াজ ও মোহাম্মদ আবু সাদিক।

নঈমুদ্দীন/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়