আজ বিশ্ব দুগ্ধ দিবস
নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ঘোষিত আন্তর্জাতিক দুগ্ধ দিবস আজ।
২০০১ সালে এফএও ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘টেকসই দুগ্ধ শিল্প : সুস্থ মানুষ, সবুজ পৃথিবী’।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রতি বছর দেশব্যাপী দিবসটি উদযাপন করে। এ বছরও দিবসটি নানান আয়োজনে উদযাপন করছে। সকাল ৯টায় রাজধানীর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ১০টি উচ্চ বিদ্যালয়ে মিল্ক ফিডিংয়ের আয়োজন করা হয়।
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সহযোগিতায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন ও ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশের দুগ্ধ খাতের ৪১ জন সফল খামারি ও উদ্যোক্তাকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
এ ছাড়া সারা দেশে দিবসটি উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মাধ্যমে দুগ্ধ পণ্য বহুমুখীকরণে পরামর্শ ক্যাম্পেইন পরিচালনা, প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন, বিনা মূল্যে প্রাণিসম্পদ চিকিত্সা ক্যাম্পেইন পরিচালনা, বিনা মূল্যে প্রাণিসম্পদের জন্য কৃমিনাশক ওষুধ বিতরণ ও টিকা প্রদান ক্যাম্পেইন পরিচালনাসহ জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দুধের মূল উৎস গরু। ৯০ শতাংশ দুধ আসে গরু থেকে, আট শতাংশ আসে ছাগল থেকে এবং দুই শতাংশ আসে মহিষ থেকে। গত দশ বছরে দেশে দুধ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। মাথাপিছু দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে ১৯০ মিলিলিটারের কিছু কম–বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, মোট আমিষের ৮ শতাংশ আসে দুগ্ধ সেক্টর থেকে। ডেইরি ইন্ডাস্ট্রি এখন দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্প। এই ইন্ডাস্ট্রি দেশের মানুষের পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ক্রমবর্ধমান জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান ৩ দশমিক ২১ শতাংশ। দুধ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আধুনিক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নানা ধরনের দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদন করা হচ্ছে। যার সাথে বিশাল শ্রমশক্তি জড়িত। দেশের মোট কর্মসংস্থানের প্রত্যক্ষভাবে ২১ শতাংশ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ শতাংশ প্রাণিসম্পদের উপর নির্ভরশীল।
/টিপু/