ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত‍্যা

প্রকাশিত: ২০:৪১, ২৭ অক্টোবর ২০২৩  
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত‍্যা

রাজধানীর মুগদা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আলাদা ঘটনায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে দুই নারী। তারা হলেন সশপ্তি মন্ডল (২৫) এবং জারমিন আক্তার সিমলা (১৯)।

মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আঙ্গুরা আক্তার সীমা এ বিষয়ে জানান, সশপ্তি মন্ডল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাশ করেন। তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, সে মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল। গতরাতে পরিবারের সকলের অগোচরে মুগদার মানিকনগরের ভাড়া বাসায় নিজ কক্ষে ফ‍্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে পড়ে।

পরে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে অচেতন অবস্থায় মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব‍্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে আমরা খবর পেয়ে গতরাত ৯ টার দিকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, নিহতের গ্রামের বাড়ী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া সদর বরুয়া গ্রামে। সে স্বপন কুমার মন্ডলের মেয়ে। বর্তমানে পরিবারের সাথে ৯৯/১ মানিকনগর ইউসুফ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত। ময়নাতদন্ত শেষে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

অপর ঘটনায় যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকার একটি বাসায় বাথরুমের ঝর্নার পাইপের সাথে গলায় ওরনা পেঁচানো অবস্থায় জারমিন আক্তার সিমলা (১৯) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ফারজানা আক্তার বলেন, গতকাল রাত সাড়ে বারোটার দিকে জাতীয় জরুরি সেবার (৯৯৯) মাধ্যমে খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ীর উত্তর কুতুবখালীতে খোরশেদ আলমের বাড়ির দ্বিতীয় তলার বাথরুমের ঝর্ণার সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো জারমিন আক্তার সিমলা নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, নিহত গৃহবধূর তিন বছর পূর্বে নিজের পছন্দে ফয়সাল হোসেন আলম নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে জাহিদ হোসেন নামে এক বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

নিহতের স্বামী ফয়সালকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি যে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে গতরাতে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল। এরপর শিশু ছেলে জাহিদকে স্বামীর কোলে দিয়ে সিমলা বাথরুমে যায়। বেশ কিছু সময় পার হলেও দরজা না খোলায় সন্দেহ হলে তিনি নিজেই ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিষয়টি থানাকে জানান। 

তিনি জানান, মৃতা গৃহবধূ সিমলা গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার আড়ালিয়ার টেক গ্রামের মো. জামাল মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে স্বামীর সাথে ১৩/১৪০ উত্তর কুতুবখালী খোরশেদ আলম এর বাড়ির ২য় তলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। ময়নাতদন্ত শেষে প্রতিবেদন রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

হাসান/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়