ঢাকা     বুধবার   ১৫ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

হরতালে সারাদিনের চিত্র স্বাভাবিক, মানুষের উপস্থিতি ছিল কম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ২৯ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ২১:৩২, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
হরতালে সারাদিনের চিত্র স্বাভাবিক, মানুষের উপস্থিতি ছিল কম

ছবি: রাইজিংবিডি

পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিজেদের মহাসমাবেশে হামলার অভিযোগ এনে বিএনপির ডাকা হরতালে আজ (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকেই রাজধানীতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও স্বাভাবিক হয়েছে। তবে প্রায় ৪ বছর পর হরতাল হওয়ায় জনজীবনে কিছুটা প্রভাব পড়ে। এ কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও রাজপথে মানুষের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ও ব্যক্তিগত পরিবহনের পাশাপাশি চলছে গণপরিবহনও। এ ছাড়া সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ছে দূরপাল্লার পরিবহনও। নিত্যদিনের মতোই কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হয়েছেন কর্মজীবী মানুষ। যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শ্যামলীতে কথা হয় আলিফ পরিবহন বাসের হেলপার আবদুর রাজ্জাকের সাথে। তিনি জানান, আজ নির্দিষ্ট রুটে দুবার আপডাউন করেছে তাদের বাস। কোথাও বাধার সম্মুখীন হননি। তবে যাত্রী অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।

মিরপুর-১ নম্বরে শফিক নামের একজন লাইনম্যান বিকেল ৪টায় বলেন, এখানে প্রায় ৯টি গণপরিবহন সব বাস উপস্থিত রয়েছে। ভোর থেকেই এখান থেকে বাস চলাচল করছে। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টায় যাত্রীর চাপ ছিল। এরপর থেকে সারাদিন যাত্রীর চাপ কম। তবে পর্যাপ্ত গাড়ি রয়েছে।

দুপুর ২টায় আজিমপুর মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের মতোই এ রুটে চলা ভিআইপি পরিবহন, সেলফি পরিবহন, দেওয়ান পরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহনের বাস যাত্রী বহন করছে। লেগুনা, প্রাইভেট কার, রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।

আজিমপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মাজার মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। হরতালের কোনও প্রভাব এসব এলাকায় চোখে পড়েনি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে সকালের দিকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের উপস্থিতিও কমে আসে এখানে।

পান্থপথ, মোহাম্মদপুর, গ্রিনরোড, কাওরান বাজার এলাকায় সকালের দিকে রিকশা, সিএনজিচালিত অটো রিকশা চলতে দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসের সংখ্যা সকালের দিকে কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাধারণ গণপরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে ‘পুলিশের হামলার প্রতিবাদে’ ডাকা বিএনপির এ হরতালে গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো সমর্থন দিলেও তাদের নেতাকর্মীদের হরতালের প্রথম দুই ঘণ্টা মাঠে দেখা যায়নি। জামায়াত আলাদাভাবে হরতাল ডেকেও মাঠে নামেনি।

এর আগে, রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। শনিবার (২৮ অক্টোবর) সমাবেশ থেকে এ হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

ঘটনাপ্রবাহ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়