ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জাতীয় ও দ্বিপাক্ষিক ওয়াশ অ্যাডভোকেসি প্রকল্পের সমাপনী 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪  
জাতীয় ও দ্বিপাক্ষিক ওয়াশ অ্যাডভোকেসি প্রকল্পের সমাপনী 

জাতীয় ও দ্বিপাক্ষিক ওয়াশ অ্যাডভোকেসি প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার লেকশোর হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উক্ত আয়োজনে এই উদ্যোগের সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি ওয়াশ (পানি, স্যানিটেশন, এবং হাইজিন) পরিষেবাতে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনার এক দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়। আয়োজনটি প্রকল্পের মাইলফলকসমূহ তুলে ধরা, চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষণ এবং টেকসই স্যানিটেশন সমাধানের অঙ্গীকার জোরদার করার লক্ষ্যে মূল স্টেকহোল্ডার, নীতিনির্ধারক এবং ওয়াশ বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করে।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের আজমান আহমেদ চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। এরপর, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মো. তাহমিদুল ইসলাম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৬ এর লক্ষ্য, অর্জন এবং অবদানের রূপরেখা তুলে ধরে প্রকল্পের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।

মো. তাহমিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের CWIS-FSM সাপোর্ট সেলের মো. শফিকুল হাসান এবং বুয়েটের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ নেটওয়ার্কের আলাউদ্দিন আহমেদ। স্যানিটেশন খাতে বিদ্যমান এবং নতুন নতুন চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতামূলক কৌশল নিয়ে হিসেবে প্রকল্পের ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে এতে আলোচনা হয়। আলোচনায় সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে সব পক্ষের সমন্বিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ স্যানিটেশন পরিষেবায় বহুক্ষেত্রীয় অংশীদারিত্বের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘‘পৌরসভা পর্যায়ে পানি সরবরাহের পাশাপাশি আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা জরুরি। নবওয়াশা প্রকল্প যেভাবে স্যানিটেশন অনুশীলনে পদ্ধতিগত পরিবর্তন ও উন্নয়ন এনেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’’

তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশনকে টেকসই করার জন্য সরকারের পাশাপাশি সব পক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফজলুর রহমান দেশে ওয়াশ ব্যবস্থা জোরদারে সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয় সরকারী প্রতিষ্ঠান যেমন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন প্রায়শই তাদের প্রদান করা সেবার মানকে উপেক্ষা করে এবং রাজস্ব উৎপাদনের উপর বেশি জোর দেয়। তাদের উচিত এই মানসিকতা পরিবর্তন করা এবং নাগরিকদের কাছে পৌঁছানো, যেহেতু তারা করদাতা।’’

এই প্রকল্প সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান। প্রকল্পের সাথে জড়িত সব অংশীদারদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে স্বীকৃতি জানিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সব সরকারি এবং বেসরকারি এবং বেসামরিক স্টেকহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যবিধির জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ নেই। এটা শুরু করার এখনই সময়।” তিনি স্থানীয় সরকার সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরো কার্যকর এবং পরিষেবামুখী করার জন্য সংস্কার কমিটিতে বিস্তৃত প্রস্তাবনা প্রদানের জন্য স্যানিটেশন সেক্টরের প্রতি আহ্বান জানান।

ঢাকা/হাসান/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়