ঢাকা     বুধবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন 

ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৮:৩৯, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ করা যাবে না

ইন্টারনেট কিংবা টেলিযোগাযোগ সেবা কোনো পরিস্থিতিতেই বন্ধ করা যাবে না, এমন স্পষ্ট বিধান যুক্ত করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সিম বা ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা অযথা হয়রানি করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে অধ্যাদেশের খসড়ার সারসংক্ষেপও তুলে ধরা হয়।

সারসংক্ষেপে জানানো হয়, অনুমোদিত খসড়ায় ‘স্পিচ অফেন্স’-সংক্রান্ত পূর্বের নিবর্তনমূলক ধারা সংশোধন করা হয়েছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখন কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, টেলিযোগাযোগ সেবা-সংক্রান্ত আপিল ও সালিসের নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

খসড়ায় ২০১০ সালের বিতর্কিত সংশোধনী কাঠামো থেকে সরে এসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ক্ষমতা ও দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য আনা হয়েছে।

আগে সব ধরনের লাইসেন্স ইস্যুর অনুমোদন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেওয়া হলেও নতুন কাঠামোয় জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লাইসেন্স ইন্ডিপেনডেন্ট স্টাডির ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেবে। তবে, অন্যান্য সব লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষমতা পুনরায় বিটিআরসির হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী ডাক ও টেলিযোগাযোগবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে একটি জবাবদিহিমূলক কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি বিটিআরসিকে প্রতি চার মাস অন্তর গণশুনানি আয়োজন করতে হবে এবং সেই শুনানির ফল ও অগ্রগতি কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়