খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক পালন করছে পুরো দেশ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ফটো।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক পালন করছে পুরো দেশ।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক শুরু হয়। আজ সকাল থেকে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিতসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সময় কী কী করা যাবে না তা জানিয়ে মঙ্গলবার রাতে এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সময় ঢাকা মহানগর এলাকায় সকল ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন উড়ানো নিষিদ্ধ থাকবে।
আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র্যালী বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। আর উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করা যাবে না বলেও ডিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বুধবার বছরের শেষ দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে থার্টি ফাস্ট উদযাপনের সময় প্রতি বছর পটকা, আতশবাজীসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন অনেকে।
গতকাল খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, সাতদিন শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা হবে। জানাজায় অংশ নিতে বুধবার সকালে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। ভারতের সরকার ও জনগণের পক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। এছাড়া ভুটানসহ আরো কয়েকটি দেশের সরকারের প্রতিনিধিরাও আসবেন।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে জামায়াত, জাতীয় পার্টি, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
ঢাকা/ইভা