ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইসলামে বিজয় উদযাপনের পদ্ধতি

মুনীরুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৫:৩০, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ইসলামে বিজয় উদযাপনের পদ্ধতি

‘বিজয়’ মানুষের চিরন্তন স্বপ্ন। এই শব্দের মধ্যে আছে পরিশ্রমের দীপ্তি, ত্যাগের চিহ্ন ও আনন্দের সূর্যোদয়। শিশুর প্রথম হাঁটা শেখা থেকে শুরু করে জাতির স্বাধীনতা পর্যন্ত মানুষ প্রতিটি জয়কেই বিজয় বলে। কিন্তু সব বিজয় কি আনন্দ উদযাপনের? সব জয় কি উল্লাসের দাবিদার?

ইসলাম এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে এক অনন্য দৃষ্টিকোণ থেকে। ইসলাম শেখায়–বিজয় মানে আত্মতৃপ্তি নয়, বরং বিনয়; উল্লাস নয়, বরং কৃতজ্ঞতা; প্রতিশোধ নয়, বরং ক্ষমা। বিজয় ইসলামে এক ধরনের আত্মশুদ্ধি, যেখানে মানুষ আল্লাহর সামনে নত হয়ে বলে, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ–সকল প্রশংসা আল্লাহর।’’

আরো পড়ুন:

এই প্রবন্ধে আমরা দেখব, ইসলামে বিজয়ের দর্শন কী, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম কীভাবে বিজয় উদযাপন করতেন এবং আধুনিক মুসলমানের জন্য এই শিক্ষা আজও কীভাবে প্রাসঙ্গিক।

ইসলামে বিজয়ের ধারণা
মানবসমাজে বিজয়ের অর্থ সাধারণত ক্ষমতা, প্রভাব, জয় বা আধিপত্য। কিন্তু ইসলামে বিজয় হলো আল্লাহর সাহায্যের প্রকাশ। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই।” [সুরা আনফাল : আয়াত ১০] অর্থাৎ মুসলমান বিশ্বাস করে— যখন সে জয়লাভ করে, তখন তা নিজের বীরত্বের নয়, বরং আল্লাহর ইচ্ছা ও রহমতের ফল। সুতরাং ইসলামে বিজয় কখনো অহংকারে শেষ হয় না; বরং শুরু হয় কৃতজ্ঞতায়।

বিজয়ের প্রকৃত অর্থ ইসলামে দুটি স্তরে প্রকাশিত– ১. বাহ্যিক বিজয়- যেমন যুদ্ধক্ষেত্র, ন্যায় প্রতিষ্ঠা, অন্যায়ের পরাজয়। ২. অভ্যন্তরীণ বিজয়- যেমন আত্মসংযম, নফসের ওপর জয়, পাপ থেকে বিরত থাকা। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমরা ছোট জিহাদ থেকে ফিরে এলাম, এখন বড় জিহাদ শুরু হলো নিজের নফসের বিরুদ্ধে।” অর্থাৎ সত্যিকারের বিজয় হলো, নিজের ভেতরের অন্ধকারকে পরাজিত করা।

মহানবীর বিজয় উদযাপনের রীতি
ইসলামে বিজয় উদযাপনের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে। ইতিহাসে একাধিক যুদ্ধ ও শান্তি চুক্তির মাধ্যমে তিনি আল্লাহর সাহায্যে বিজয় অর্জন করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই তাঁর আচরণ ছিল অনন্য।

ক. ফাতহে মক্কা—বিনয়ের মহাগাথা
হিজরি অষ্টম সনে মক্কা বিজয়ের মুহূর্তে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শহরে প্রবেশ করলেন, তাঁর মাথা উটের কুঁজে নত ছিল। তিনি কোনো সোনার আসনে বসে প্রবেশ করেননি, বরং বলেছিলেন, ‘‘আজ প্রতিশোধের দিন নয়; আজ ক্ষমার দিন।’’ এই বাক্যটি ইতিহাসে মানবিকতার এক অমর দলিল হয়ে আছে। শত্রুরা— যারা তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছিল, তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল, আজ তারা সবাই তাঁর করুণার কারণে মুক্ত। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করলেন, ‘‘তোমরা সবাই মুক্ত।’’ বিজয়ের এই দিনটি ছিল না রক্তের উল্লাসে ভরা; বরং ছিল ক্ষমা, কৃতজ্ঞতা ও আল্লাহর প্রশংসায় পূর্ণ।

খ. বদর ও হুনাইন যুদ্ধের শিক্ষা
বদর ছিল ইসলামের প্রথম সামরিক বিজয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন সারারাত আল্লাহর দরবারে দোয়া করেছেন, কেঁদেছেন, নামাজে দীর্ঘ কিয়াম করেছেন। তিনি জানতেন, এই বিজয় তাঁর নয়, এটি আল্লাহর অনুগ্রহ।

হুনাইন যুদ্ধে মুসলমানরা সংখ্যায় বেশি ছিল, কিন্তু কিছু সময়ের জন্য তারা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে পড়েছিল। কুরআনে আল্লাহ সতর্ক করলেন, “যখন তোমরা নিজেদের সংখ্যায় গর্ব করেছিলে, তখন তা তোমাদের কোনো উপকারে আসেনি।’’ [সুরা তাওবা : আয়াত ২৫] এই আয়াত মুসলমানদের মনে করিয়ে দেয়— অহংকার বিজয়কে পরাজয়ে রূপ দিতে পারে।

কুরআনের নির্দেশ: বিজয়ের পর করণীয়
কুরআন মুসলমানদের বিজয়ের পর আচরণ শেখায় এক বিশেষ সুরায়। সুরা আন-নাসরে। “যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং তুমি দেখবে মানুষ দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করছে, তখন তোমার পালনকর্তার প্রশংসাসহ তাসবিহ পাঠ করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো।”

এই আয়াত তিনটি কাজের নির্দেশ দেয়—
১. তাসবিহ: আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করা।

২. হামদ: আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

৩. ইস্তিগফার: নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।

এ তিনটি কাজই ইসলামে বিজয় উদযাপনের মূলভিত্তি। মুসলমান বিজয়ের সময় আনন্দে আত্মহারা হয় না, বরং বলে– “সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।”

ইসলামে বিজয় উদযাপনের প্রকৃত রূপ
ইসলাম যে বিজয় উদযাপনের শিক্ষা দেয়, তা কোনো বহিরঙ্গ নয়, এটি আত্মার উদযাপন। এই উদযাপন প্রকাশ পায় নিম্নরূপে–

১. সিজদায়ে শুকর 
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো শুভ সংবাদ পেতেন, সঙ্গে সঙ্গে সিজদায় লুটিয়ে পড়তেন। একে বলা হয় ‘সিজদায়ে শুকর’, অর্থাৎ কৃতজ্ঞতার সিজদা। বিজয়ের পর মুসলমানের প্রথম কাজ আল্লাহর সামনে নত হওয়া।

২. তাকবির ও তাহলিল পাঠ
বিজয়ের মুহূর্তে সাহাবায়ে কেরাম উচ্চারণ করতেন, “আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।’’ এই ধ্বনি শুধু যুদ্ধক্ষেত্রের স্লোগান নয়; এটি ছিল আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা, বিজয়ের প্রকৃত উৎসের স্মরণ।

৩. নফল নামাজ ও তাওবা
বিজয়ের পর সাহাবায়ে কেরাম নামাজে দাঁড়াতেন, নফল রোজা রাখতেন এবং নিজেদের জন্য ক্ষমা চাইতেন। তারা বিশ্বাস করতেন, যে বিজয় আল্লাহ দিয়েছেন, তার প্রকৃত মূল্য হলো বিনয়।

৪. দরিদ্রদের মধ্যে দান করা
বিজয়ের আনন্দ সমাজে ছড়িয়ে দিতে তারা গরিবদের খাওয়াতেন, জাকাত ও সদকা দিতেন। কারণ, ইসলাম শেখায়— বিজয় কেবল নিজের নয়, সমাজেরও।

৫. অহংকার থেকে দূরে থাকা
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যার অন্তরে সামান্য অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’’ [সহিহ মুসলিম] সুতরাং বিজয়ের পর আত্মগর্ব ইসলামি চেতনার পরিপন্থী।

ইসলামি ইতিহাসে বিজয় উদযাপনের উদাহরণ
ক. সালাহউদ্দিন আইয়ুবির জেরুজালেম জয়: ক্রুসেডারদের থেকে জেরুজালেম পুনরুদ্ধারের পর সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি শহরে প্রবেশ করলেন– না কোনো যুদ্ধডঙ্কায়, না কোনো প্রতিহিংসায়। তিনি গির্জাগুলো রক্ষা করলেন, খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা দিলেন এবং প্রথমেই মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে নফল নামাজ আদায় করলেন। তাঁর মুখে ছিল একটিই কথা– ‘‘এই বিজয় আমাদের নয়, আল্লাহর।’’

খ. তারিক বিন জিয়াদের স্পেন বিজয়: স্পেনে প্রবেশের আগে তারিক বিন জিয়াদ তাঁর সৈন্যদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “পেছনে সমুদ্র, সামনে শত্রু। আমরা একমাত্র আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল।” বিজয়ের পর তিনি মসজিদ নির্মাণ করেন, শিক্ষার প্রসার ঘটান, দাস মুক্ত করেন। কোনো রাজকীয় উৎসব নয়, বরং ছিল ইবাদতের উৎসব।

গ. সুলতান মাহমুদ গজনবির হিন্দুস্তান জয়: সুলতান মাহমুদ গজনবি প্রতিবার বিজয়ের পর নিজেকে ‘আল্লাহর এক দাস’ বলতেন, কখনো ‘সম্রাট’ উপাধি নেননি। যুদ্ধলব্ধ সম্পদ তিনি মসজিদ, মাদরাসা ও দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করতেন।

আত্মিক বিজয়: নীরব মহিমা
ইসলামের এক বিশেষ দিক হলো, এখানে আত্মিক বিজয়কে বাহ্যিক বিজয়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠ গণ্য করা হয়। রাগ নিয়ন্ত্রণ, পাপ থেকে বিরত থাকা, অন্যায় প্রতিরোধ করা– এসবই একেকটি বিজয়। রোজা রাখার সময় একজন মুসলমান ক্ষুধার্ত হলেও পাপ থেকে বিরত থাকে; এটি আত্মিক বিজয়। সালাতে মনোযোগ ধরে রাখা, দান করার সময় অহংকার ত্যাগ করা– এসবই আত্মার বিজয়। এই বিজয়ের কোনো পতাকা নেই, নেই শোভাযাত্রা; কিন্তু এর আনন্দ স্থায়ী, কারণ এটি আত্মাকে আল্লাহর কাছে টেনে নেয়।

বিজয়ের পর সমাজের দায়িত্ব
ইসলামে বিজয়ের পর সমাজে ন্যায়, শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজয় তখনই অর্থবহ, যখন তা দুর্বলদের মুক্তি দেয়, নির্যাতিতদের আশ্রয় দেয়। “আর আমরা পৃথিবীতে দুর্বলদের ওপর অনুগ্রহ করতে চেয়েছিলাম, তাদের নেতৃস্থানীয় ও উত্তরাধিকারী করতে চেয়েছিলাম।” [সুরা কাসাস : আয়াত ৫]
অতএব, বিজয় যদি অন্যায়কে টিকিয়ে রাখে, অত্যাচারকে বাঁচিয়ে রাখে, তবে তা বিজয় নয়। ইসলামে বিজয় মানে– ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা, অন্যায়ের অবসান।

সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে ইসলামের শিক্ষা
আজকের যুগে বিজয় মানে মিডিয়া কভারেজ, আতশবাজি, মিছিল, গান-বাদ্য ও নৃত্যের আসর। অনেক মুসলমানও পশ্চিমা ধাঁচে উৎসব পালন করে। কিন্তু এসব আচরণ ইসলামি সংস্কৃতির পরিপন্থী। ইসলাম শেখায়– বিজয়ের পর যত বড় আনন্দ, তত বড় দায়িত্ব। বিজয়ের পর যদি কেউ গরিবদের খাওয়ায়, নামাজে দীর্ঘ সিজদায় যায়, কুরআন পাঠ করে, দোয়া করে; তবেই সে ইসলামি বিজয় উদযাপন করেছে। আজ মুসলমানদের বিজয় শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়; তা হতে পারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে, শিক্ষায়, বিজ্ঞানে, নৈতিকতায়, মানবসেবায়। 

ইসলামে বিজয় ও মানবতার সংলাপ
ইসলাম বিজয়কে মানবতার সঙ্গে যুক্ত করে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা জয় করে শুধু মক্কাকে মুক্ত করেননি, তিনি মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যে সমাজ একদিন তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছিল, সেই সমাজের মুক্তিই ছিল তাঁর প্রথম কাজ। এ যেন আলোর উৎসব, কিন্তু বাইরে নয়, মানুষের অন্তরে। বিজয়ের আনন্দ ইসলামে বাইরে প্রকাশ পায় না চিৎকারে, বরং ভেতরে প্রতিধ্বনি তোলে ‘আল্লাহু আকবার’।

বিজয়ের নৈতিক তাৎপর্য
ইসলামের দৃষ্টিতে বিজয় এক ধরনের পরীক্ষা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর আমি তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা, সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানির মাধ্যমে; আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।” [সুরা বাকারা : আয়াত ১৫৫] অতএব বিজয়েও আছে পরীক্ষা– তুমি কি বিনয়ী থাকবে, না গর্বে অন্ধ হবে? ইসলাম চায় বিজয় মানুষকে নম্র করুক; ক্রোধ নয়, করুণা জাগাক।

উপসংহার
ইসলামে বিজয় মানে উৎসব নয়, আত্মসমর্পণ। এটি এক আধ্যাত্মিক উপলব্ধি, যেখানে মানুষ নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে, আল্লাহর অনুগ্রহে মাথা নত করে। যে মুহূর্তে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা জয় করলেন, তখন তাঁর চারপাশে ছিল হাজারো সৈন্য, তবু তাঁর চোখে ছিল অশ্রু, ঠোঁটে ছিল কৃতজ্ঞতার তাসবিহ। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিজয় সেদিন উদযাপিত হয়েছিল এক নীরব সিজদায়।
আজও যে মুসলমান বিজয়ের পর সিজদায় পড়ে যায়, গরিবকে খাওয়ায়, ক্ষমা করে, অহংকার ত্যাগ করে; সেই মানুষই সত্যিকারের বিজয়ী। বিজয়ের শেষে তাই মুখে উচ্চারিত হয় একমাত্র এই বাক্য– “আলহামদুলিল্লাহি আলা নি‘মাতিল ইসলাম ওয়াল ফাতহ।– অর্থাৎ, ইসলামের নেয়ামত ও বিজয়ের জন্য সকল প্রশংসা আল্লাহর।” বিজয়ের আসল সুর সেখানেই– বিনয়ে, কৃতজ্ঞতায়, ক্ষমায়। কারণ ইসলাম শেখায়– বিজয় মানে গর্ব নয়, বিজয় মানে সিজদায় নত হওয়া।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম; পরিচালক, সম্পাদনা কেন্দ্র

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়