ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘রক্ত দিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দেয় একুশে ফেব্রুয়ারি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  
‘রক্ত দিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দেয় একুশে ফেব্রুয়ারি’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিক্ষা দিয়েছে। প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। রক্ত দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষা দেয় মহান একুশে। সুশাসন এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায় একুশে ফেব্রুয়ারি। অন্যায়কে পরাজিত করতেই আমরা রাজনীতি করব।’

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্যরা।

জিএম কাদের বলেন, ১৯৫২ সালে অন্যায়ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে আমাদের ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের সাফল্যই প্রতিটি আন্দোলন- সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। ভাষা আন্দেলনের অনুপ্রেরণায় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এসেছে। ভাষা আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় আমরা একটি স্বাধীন ও স্বার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। অন্যায়ের প্রতিবাদে রক্ত দেওয়ার শিক্ষাও আমাদের দিয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি। স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল মুক্তির জন্য। আমরা স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু মুক্তি পাইনি। দেশের মানুষ বৈষম্য ও কুশাসনের বিরুদ্ধে মুক্তি পায় না।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের এমপি। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ।

সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে লেখা আছে, রাষ্ট্রভাষা বাংলা। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা দীর্ঘ সময়ে বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীনতার পর যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সর্বস্তরে বাংলাকে বাস্তবায়িত করতে ব্যর্থ হয়েছে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ সংসদে সকল ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে প্রচলিত করতে আইন পাস করেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, নাজনিন সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, সালমা হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, মাসরুর মাওলা, ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা রানী, নুরুন্নাহার বেগম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, মো. হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন তোতা, মাহমুদা রহমান মুন্নি, কাজী আবুল খায়ের, মাখন সরকার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাসুদুর রহমান মাছুম, এমএ রাজ্জাক খান, মো. জহিরুল ইসলাম মিন্টু, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন হেলাল, আজহারুল ইসলাম সরকার, জাকির হোসেন মৃধা, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, ডা. সেলিমা খান, মীর সামছুল আলম লিপটন, কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদা ইয়াসমিন, আব্দুস সাত্তার, মিনি খান, মোনাজাত চৌধুরী, ইলোরা ইয়াসমিন, মোতাহার হোসেন শাহীন, শামীম আহমেদ রিজভী, আলমগীর হোসেন, শাহিনারা সুলতানা রীমা, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, মো. আসাদুল হক, নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ আলী। জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—, মোস্তফা জামান বাবু, জিয়াউর রহমান, রাজু চৌধুরী, মিরাজ মেহেদী, চম্পা মন্ডল, সিরাজুম মনিরা, তামান্না চৌধুরী, লায়লাতুল কদর, লীন, বেলায়েত হোসেন সাজু, সালাউদ্দিন ববি, ওমর ফারুক সুজন, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ খান, মোটর শ্রমিক পার্টির সভাপতি মেহেদী হাসান শিপন, হকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মিজান, মহানগর নেতা রিয়াজ আহমেদ, আলাল আহমেদ ও খলিলুর রহমান খলিল।

নঈমুদ্দীন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়