‘নির্যাতন-নিপীড়ন যত বাড়বে, আন্দোলন তত তীব্র হবে’
ফাইল ছবি
‘বিরোধীদলের নেতাকর্মীর ওপর সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন যত বাড়বে, আন্দোলনের গতি ততই তীব্র হবে’- এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানী ক্লাব থেকে বিএনপির ৫৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষ গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা। তাদের দাবি আদায়ে যখন রাস্তায় নামছে, আন্দোলন করছে- তখন এই অনির্বাচিত, ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বিচারে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে মামলা-হামলা-গ্রেপ্তার করছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন ও কারান্তরীণ করছে। দেশের মানুষকে ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান করতেও বাধা দিচ্ছে এই সরকার।
ফখরুল বলেন, নেত্রকোনাসহ দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে মনে হচ্ছে, দেশটা এখন আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশকে বিরোধীদল শূন্য করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে নিজেদের একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘায়িত করার গভীর চক্রান্ত করছে।
‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকার বুঝে গেছে, তাদের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে এসেছে বলে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ কারণেই তারা এখন বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে বেপরোয়া হয়ে মরণকামড় দিচ্ছে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মমিন আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস ধীরেন, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমসহ ৫৩ জনকে ঢাকায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠান করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও নেত্রকোনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান দুদু, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আয়নাল হককে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
মেয়া/এনএইচ