ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কার্পাস তুলার কেজি ৯০ টাকা, ভাগ্য ফিরছে চাষিদের

অদিত্য রাসেল, সিরাজগঞ্জ  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৬:৩৭, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কার্পাস তুলার কেজি ৯০ টাকা, ভাগ্য ফিরছে চাষিদের

কর্পাস তুলা

লাভজনক ও ফলন ভালো হওয়ায় সিরাজগঞ্জের চারটি উপজেলায় বেড়েছে কার্পাস তুলার চাষ। চলতি মৌসুমে সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে ৫০০ হেক্টর জমিতে অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন কৃষক তুলা চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এতে তুলা চাষে অনেকেরই ভাগ্যবদল হবে বলে আশা করছেন সংশিষ্টরা।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এই জেলায় গত বছর তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ২৬০ মেট্রিক টন। এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনে। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। এ হারে কৃষকের আয় হবে মোট মূল্যের ৭০ ভাগ। এই মৌসুমে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, রায়গঞ্জ, কামারখন্দ ও আংশিক উল্লাপাড়া উপজেলায় কার্পাস তুলা চাষ হচ্ছে। 

রায়গঞ্জ উপজেলার বারইভাগ এলাকার তুলা চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত মৌসুমে এক বিঘা জমিতে তুলা চাষে খরচ হয়েছিল ৫-৬ হাজার টাকা। তুলা বিক্রি হয়েছিল ৪০ হাজার টাকার। এবার আমি দুই বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। তুলার বর্তমান বাজারমূল্য প্রতি কেজি ৯০ টাকা। এবার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ১ লাখ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার তুলা বিক্রি করতে পারবো।’

সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের তুলা চাষি মোকাদ্দেস ইসলাম বলেন, ‘অন্য ফসলের চেয়ে কার্পাস তুলা চাষে খরচ কয়েকগুণ কম। আমি সরকারিভাবে বীজ, সার ও ওষুধ পেয়ে চলতি মৌসুমে ৩৫ শতক জমিতে কার্পাস তুলা চাষ করেছি।’

কামারখন্দের তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (কটন ইউনিট অফিসার) উজ্জল চন্দ্র বলেন, ‘উৎপাদিত তুলা বাজারজাতে ন্যায্যমূল না পাওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা তুলা উৎপাদনে আগ্রহ দেখাতেন না। উচ্চ পর্যায়ে আলোচনায় তুলা চাষে প্রণোদনাসহ উৎপাদিত তুলা বাজারজাতকরণের নিশ্চয়তা দেয় সরকার। একই সঙ্গে প্রণোদনা হিসেবে সরকারিভাবে বীজ, সার এবং ওষুধ বিতরণ করা হয়। তুলা ৯০
টাকা কেজি দরে বিক্রির নিশ্চয়তা দেওয়াতেই পাল্টে যাচ্ছে প্রান্তিক কৃষকের চিন্তাধারা ও ভাগ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্য ফসলের চেয়ে খরচ কম হওয়ায় কার্পাস তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। আগামীতে তুলা চাষে এ এলাকার কৃষকের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে বলেও আশা করছি।’ 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (উপ-সহকারী) কৃষি কর্মকর্তা শামিনুর ইসলাম শামীম বলেন, ‘খাদ্যের পরই বস্ত্রের স্থান। আর এ বস্ত্রের ৭০ ভাগ আসে তুলা থেকে। তুলা একটি লাভজনক ফসল। দিন দিন জেলায় তুলা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা।’ 

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়