ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মিষ্টি আলু চাষে সফল কৃষক সেলিম মিয়া

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২২:৪৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মিষ্টি আলু চাষে সফল কৃষক সেলিম মিয়া

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার তগলী গ্রামের কৃষক মো. সেলিম মিয়া বাড়ির পাশে প্রায় ৩০ শতক জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করে সফল হয়েছেন। তার সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও মিষ্টি আলু চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

উপজেলার তগলী গ্রামের আফিল উদ্দিনের ছেলে কৃষক মো. সেলিম মিয়া বলেন, বাড়ির পাশে ৩০ শতক জমিতে আগে অন্য ফসলের আবাদ করতাম। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলন পেতাম না। এ মৌসুমে উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে মিষ্টি আলুর চারা সংগ্রহ করে আবাদ করি। আমি এ সামান্য জমি থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ মণের মতো আলু পেয়েছি। বাজারে নেওয়ার আগেই, ক্ষেত থেকে আলু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় লোকেরা। প্রায় ৭ হাজার টাকার মতো খরচ করে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে।

তিনি আরও বলেন, মিষ্টি আলু রোপণের আগে জমি প্রস্তুত করা হয়। প্রয়োগ করা হয় গোবর ৪০ ভার (৮০ ঝুড়ি), জিপসাম সার ৩৫ কেজি, জৈব সার ৪০ কেজি, জমি চাষাবাদের আগে ও সেচের সময় দুই দফায় ইউরিয়া সার ৩০ কেজি, ডিএপি ৩০ কেজি। জমি প্রস্তুতের ১৫ দিন পর চারা রোপণ করা হয়।

সেলিম মিয়া বলেন, জমিতে বীজ রোপণ করা প্রায় ৩ মাস হয়েছে। এটা মৌসুমী ক্ষেত। মাটিতে রস থাকলে একবার সেচ দিলেই হয়। তবে রোগ-বালাই নাই বললেই চলে। আগে ওই জমিতে অন্য ফসল ছিল। এবার সফল হওয়ায় আবারও মিষ্টি আলু লাগাবো। আলু উঠানোর পর ওই জমিতে সবজির চারা লাগানো হবে।

উপজেলার ছিলামী গ্রামের কৃষক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখতে পাই কৃষক মো. সেলিম মিয়া ক্ষেত থেকে মিষ্টি আলু সংগ্রহ করছেন। তার কাছ থেকে ২০ কেজি মিষ্টি আলু সংগ্রহ করেছি খাওয়ার জন্য। পুষ্টিকর এ আলু সিদ্ধ দিয়ে খেতে অনেক স্বাদ। আগামীতে আমার জমিতে মিষ্টি আলুর আবাদ করার ইচ্ছা রয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শামীমুল হক শামীম বলেন, কৃষক মো. সেলিম মিয়াকে পরামর্শ দিয়েছি। তিনি শ্রম দিয়েছেন। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে তিনি মিষ্টি আলুর চাষ করে সফল হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ আছে। মিষ্টি আলু চাষে সময় লাগে কম এবং ফলনও ভালো হয়। প্রতি বিঘাতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। এটি লাভজনক ফসল এবং দামও ভালো।

শামীমুল হক বলেন, বাড়ির আশপাশে আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে মিষ্টি আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। অধিক পরিমাণ ফলন পেতে উন্নত জাতের ফসল উৎপাদনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মামুন/ফয়সাল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়