ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ঈদে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যা করবেন

দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ২১ জুলাই ২০২১   আপডেট: ০৯:৫১, ২১ জুলাই ২০২১
ঈদে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যা করবেন

কোরবানির ঈদে সবারই ইচ্ছা করে বেশি করে মাংস খেতে। খাবারের তালিকায় থাকে বিভিন্ন রকমের মাংসের পদ। কিন্তু অনেকেই একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না। 

বেশি মাংস খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপে, জ্বালাপোড়া করে, ব্যথা করে, বারবার পায়খানা হতে পারে। মাংস, তেল, চর্বি বেশি খাওয়া হলে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় ভুগতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে ঈদের দিন দুপুর ও রাত্রে অবশ্যই খাবারের তালিকায় সবজির একটি পদ রাখবেন। আর সব খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি বা অন্যান্য পানীয় পান করতে ভুলবেন না। খাবার সময় অবশ্যই পরিমিতি বোধ বজায় রাখতে হবে। একবারে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে কিছু ঘরোয়া উপায় ফলো করে দেখতে পারেন।

* লেবু পানি: লেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিড পরিপাকতন্ত্রে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করে। লেবু চিপে রস বের করে এক গ্লাস পানির সঙ্গে পান করুন অথবা লেবু চা পান করতে পারেন।

* পুদিনা বা আদার চা: পুদিনায় মেনথল থাকে, যার রয়েছে অ্যান্টিস্প্যাজমোডিক ইফেক্ট যা পরিপাক নালীর মাংসপেশীকে শিথিল করে। আদা একটি উষ্ণ হার্ব যা শরীরের ভেতরে অধিক তাপ উৎপাদন করে, হার্বালিস্টদের মতে এটি ধীর হজমকে দ্রুত করতে পারে। পুদিনা বা আদার চা খাবার হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

* আলুবোখারার জুস: আলুবোখারা মৃদু ল্যাক্সাটিভ হিসেবে কাজ করে। এটি বৃহদান্ত্রের মধ্য দিয়ে বর্জ্য নামাতে মাংসপেশিকে উদ্দীপ্ত করে। আলুবোখারার জুস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ কার্যকর।

* পাকা কলা: পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য সহজে দূর করতে পারে। কারণ কলায় প্রচুর আঁশ থাকে যা এই সমস্যা সহজে দূর করতে পারে। কলার আঁশ শরীরের বৃহৎ অন্ত্র থেকে পানি শোষণ করে। এতে মল নরম হয়।

* ক্যাস্টর অয়েল: এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চলে আসছে। খালি পেটে এক থেকে দুই চা-চামচ ক্যাস্টর অয়েল গ্রহণ করুন এবং আট ঘণ্টার মধ্যে ফল পাবেন। 

* কফি: কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে কফি পান করে দেখতে পারেন। এতে ভালো কাজ হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এর অন্যতম কারণ হলো গরম পানীয় বর্জ্যের চলাচলে গতি আনে। সেই হিসেবে অন্যান্য গরম পানীয়ও কোষ্ঠকাঠিন্যে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে কফির ভূমিকা অন্যান্য গরম পানীয়ের চেয়ে একটু বেশি, কারণ এটি অন্ত্রের মাংসপেশিকে সংকুচিত হতে উদ্দীপ্ত করে।

* ইসবগুলের ভুসি: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর না হলে পানিতে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রাকৃতিক উপাদান বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা কম।

বাজারে নানা ধরনের সিরাপ, জোলাপ ইত্যাদি পাওয়া যায়। কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কোনো ওষুধ সেবন করবেন না। কারণ ওষুধের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গিয়ে উল্টো ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে এবং পানি ও লবণের ঘাটতি হয়ে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রকট হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।

ঢাকা/ফিরোজ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়