ঢাকা     রোববার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

প্রাথমিকে নতুন নিয়োগ বিধিমালা: শিক্ষকরা বলছেন ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১০ জুলাই ২০২১  
প্রাথমিকে নতুন নিয়োগ বিধিমালা: শিক্ষকরা বলছেন ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’

সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা বর্তমানে দুটি শর্ত পূরণ করে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে 'উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা' পদের জন‌্য পরীক্ষা দিতে পারেন। শর্ত দুটি হলো— শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর এবং বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। এসব শর্তে আগে অনেক শিক্ষকই উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

তবে, সব শিক্ষকের ক্ষেত্রে এভাবে কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ থাকছে না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘সমন্বিত নিয়োগ বিধিমালা’। এতে প্রাথমিক বিদ‌্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে শুধু প্রধান শিক্ষকদের জন্য ‘উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার’ পদে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এ সুযোগ রাখা হয়নি।

ইতোমধ্যে নতুন বিধিমালাটি সচিব কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে। শিগগিরই এটি চূড়ান্ত অনুমোদন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নতুন বিধিমালা নিয়ে অসন্তোষ আছে শিক্ষকদের মাঝে। তারা বলছেন, এতদিন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হলেও প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) ইনস্ট্রাক্টর ও সহকারী ইনস্ট্রাক্টর পদে তাদের বিভাগীয় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো না। নতুন বিধিমালায় সব ধরনের কর্মকর্তা পদ থেকে সহকারী শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) রতন চন্দ্র পন্ডিত বলেছেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালা সব ধাপে চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। ছোটখাটো কিছু কাজ আছে, সেসব শেষ করে সেটি চূড়ান্ত অনুমোদন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৮৫ সালের পরে এ নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করা হয়নি। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। সেসব সমাধানের মাধ্যমে এ নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক থেকে মহাপরিচালক পর্যন্ত ৭৬টি পদে নিয়োগ-পদোন্নতি ও কর্মকর্তাদের গ্রেড সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ আছে।’

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘এটা শুভঙ্করের ফাঁকি। এখানে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষকরা আবেদন করতে পারবে না। আবার বলা হয়েছে, ৪৫ বছরের বেশি হলে প্রধান শিক্ষকরা আবেদন করতে পারবে না। তাহলে পদোন্নতি পেয়ে একজন সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হতে হতে তার আবেদনের বয়সসীমাই পার হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে শুধু বিসিএস দিয়ে যারা প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন, তারাই এ সুযোগ পাবেন। বাকিদের এ সুযোগ থাকবে না সিস্টেমের কারণেই। আমরা এ বিধিমালাটি মানতে পারছি না।’

ইয়ামিন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়