সিসি ক্যামেরার বিভিন্ন সুবিধা 

সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী একটি ডিভাইস হলো সিসি ক্যামেরা। যেটি এক সময় বেশ ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া মনে করা হলেও বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় এটি এখন সর্বস্তরের জনগণের কাছে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক, অফিস-আদালত, দোকান, রাস্তাঘাট, কলকারখানা, এমনকি বাসা-বাড়িতেও এখন সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে দেখা যায়।

চল্লিশের দশকের পর পরই প্রথমে জার্মানিতে এবং পরবর্তীতে সারা পৃথিবী জুড়েই সিসি ক্যামেরার ব্যবহার শুরু হলেও আমাদের দেশে ২০১৩ সালের পর থেকেই এটির বাজারে চাহিদা বাড়তে শুরু করে। সিসি ক্যামেরা যে নাগরিক জীবনকে করে তুলেছে অনেক বেশি সহজ ও সুবিধাজনক। সর্বপ্রথম সিসি ক্যামেরা তৈরি করে সিমেন্স এজি তবে সেই চল্লিশের দশকের সিসি ক্যামেরা এবং বর্তমান আধুনিক সিসি ক্যামেরার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। বর্তমান সময়ের আধুনিক সিসি ক্যামেরাগুলো অনেক বেশি উন্নতমানের হওয়ায় এটির থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

আপনি যদি আপনার অফিসের কর্মীদের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারী করতে চান তাহলে সিসি ক্যামেরাই একমাত্র উপায় হতে পারে। এছাড়াও আপনার অফিসের নিরাপত্তার জন্য অফিসের বাহিরের চারদিকে চারটি সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দিলে আপনি সবসময় সেখানেও নজর রাখতে পারবেন। অফিসে আপনার অনুপস্থিতিতেও সিসি ক্যামেরা সবকিছু রেকর্ড করে রাখবে পরবর্তীতে আপনি চাইলে আপনার সময়মতো ভিডিও ফুটেজ চেক করে নিতে পারবেন। এভাবে আপনি বাসা-বাড়ি নিরাপত্তায়ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারবেন। অনেক কর্মজীবী দম্পতি সন্তানকে কেয়ারটেকারের কাছে রেখে যান, তখন তিনি সন্তানদের ওপর কেমন আচরণ করছেন সেটাও সেই কর্মজীবী বাবা-মা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে অফিসে বসেই মোবাইল থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। 

বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিসি ক্যামেরার বর্তমান দাম জেনে পারেন অনলাইন থেকে। যেমন বিডিস্টল ডটকম।