ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

স্মার্টফোনে স্যামসাংয়ের ৯ উদ্ভাবনী প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ২১:১৬, ৯ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ২২:৪৬, ৯ নভেম্বর ২০২২
স্মার্টফোনে স্যামসাংয়ের ৯ উদ্ভাবনী প্রযুক্তি

স্মার্টফোনে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে আসার জন্য বিশেষ খ্যাতি রয়েছে স্যামসাংয়ের। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি স্ক্রিন, ক্যামেরা, এআই প্রযুক্তির ব্যবহারসহ নানান বিষয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবনের সাহায্যে ব্যবহারকারীদের ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতা দিয়ে আসছে। 

এ প্রতিবেদনে ব্র্যান্ডটির ৯টি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি তুলে ধরা হলো। 

অ্যামোলেড ডিসপ্লে: স্মার্টফোনে বড় স্ক্রিনের ডিসপ্লে ব্যবহারের সুযোগকে সবার জন্য সহজলভ্য করেছে অ্যামোলেড ডিসপ্লে। স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে স্যামসাংই সর্বপ্রথম স্মার্টডিভাইসে অ্যামোলেড ডিসপ্লে নিয়ে আসে। বর্তমানে এই অ্যামোলেড ডিসপ্লে আরও আধুনিক করতে কাজ করে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।

এস পেন: ২০১১ সালে গ্যালাক্সি নোটের সঙ্গে প্রথমবারের মতো ‘এস পেন’ নামক উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কলম নিয়ে আসে স্যামসাং। ফলে নোটবুক-কলম নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর প্রয়োজন ফুরিয়ে আসে, আর আরম্ভ হয় ফোনের স্ক্রিনেই মনের যত কথা আর চিন্তার আঁকিবুঁকি।

স্যামসাং নক্স: স্মার্টফোনের বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত স্যামসাংয়ের উদ্ভাবনী এই প্রযুক্তিটি। এটি ডিভাইস থেকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তথ্য পাচার হওয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে।   

পানি ও ধুলা থেকে সুরক্ষা: অতীতে যেকোনো স্মার্টফোন যত দামিই হোক না কেন, হাত ফস্কে বা অন্য অসাবধানতাবশত একবার পানিতে পড়ালেই একপ্রকার নিশ্চিতভাবে এর আয়ু ফুরিয়ে আসত। ২০১৭ সালে সর্বপ্রথম স্যামসাং নিজেদের গ্যালাক্সি এস৭ ডিভাইসে ব্যবহার করে সর্বোচ্চ মাত্রার ওয়াটারপ্রুফ ও ডাস্টপ্রুফ প্রযুক্তি ‘আইপি৬৮’। এরপর থেকে পানি ও ধুলা নিয়ে আর চিন্তা করতে হচ্ছে না স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

স্যামসাং পে: ইনস্ট্যান্ট ট্রানজাকশনের সুবিধা দিতে ২০১৫ সালে স্যামসাং তাদের স্মার্টফোনে নিয়ে আসে ‘স্যামসাং পে’। যারা নগদ অর্থ ও কার্ডের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে চান, তাদের জন্য এটি দারুন এক প্রযুক্তি।

ডুয়াল পিক্সেল সেন্সর: স্মার্টফোন বিশ্বে সর্বপ্রথম স্যামসাং নিয়ে আসে ডুয়াল পিক্সেল সেন্সর। স্মার্টফোন ফটোগ্রাফিতে এই প্রযুক্তি ডিএসএলআর ক্যামেরার সুবিধা দেয়।

ওয়ান ইউআই: নিজস্ব ইউজার ইন্টারফেস হিসেবে ২০১৮ সালে স্যামসাং নিয়ে আসে ওয়ান ইউআই। সহজ, স্বাচ্ছন্দ্যময়, নিরাপদ এবং ব্যবহারকারীবান্ধব হিসেবে ওয়ান ইউআই ইন্টারফেস বেশ জনপ্রিয়। 

ফোল্ডেবল স্মার্টফোন: ২০১৯ সালে গ্যালাক্সি জেড ফোল্ডের মাধ্যমে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ফোল্ডেবল স্মার্টফোন যুগের সূচনা ঘটায় দক্ষিণ কোরিয়ার ব্র্যান্ডটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে প্রস্তুত করা এই স্মার্টফোনে ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে মাল্টি-অ্যাকটিভ উইন্ডোর মতো আধুনিক সব ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ইরেজার: ২০২১ সালে স্যামসাং প্রথম এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তিটি নিয়ে আসে, যার মাধ্যমে যেকোনো ছবিতে থাকা অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু বা অংশ মুছে দিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করা হয়।

/ফিরোজ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়