ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ব্ল্যাক হোল নেই, বিগ ব্যাং তত্ত্বও ভুল!

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব্ল্যাক হোল নেই, বিগ ব্যাং তত্ত্বও ভুল!

কাল্পনিক ব্ল্যাক হোল

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমান বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড যে তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেই বিগ ব্যাং বা মহা বিস্ফোরণ তত্ত্ব নাকি ভুল! অথচ এই তত্ত্বকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির তত্ত্ব ধরেই এগিয়েছে বিজ্ঞান। এবার সত্যিই যদি এই তত্ত্ব ভুল হয় তাহলে বিজ্ঞানীদের অকূল পাথারে পড়া ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না। তাই এ নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে শুরু হয়েছ তুমুল হুলস্থুল।


কেননা সম্প্রতি ব্ল্যাক হোল তত্ত্বকে অস্বীকার করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী মারসিনি হফটন। শুধু তাই নয়, তিনি এ দাবীর পক্ষে গাণিতিক প্রমাণও নাকি দিতে পারবেন।


তার দাবি, মৃত নক্ষত্র থেকে এক ধরনের রেডিয়েশন বা বিকিরণ নির্গত হয়। কিন্তু নক্ষত্র আসলে এত বেশি রেডিয়েশন দিয়ে ঘেরা থাকে যে, ব্ল্যাক হোল তৈরি হওয়ার মত অবশিষ্ট ঘণত্ব থাকে না। তার দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে পদার্থ বিজ্ঞানসহ বিজ্ঞানের অনেক তত্ত্বের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হবে বিজ্ঞানীদের।


স্টিফেন হকিং সর্বপ্রথম নক্ষত্রের রেডিয়েশন সম্পর্কে ধারণা দেন। এজন্য তার নামানুসারে একে হকিং রেডিয়েশন বলা হয়। বিগ ব্যাং হল একটি মহাবিস্ফোরণ। ধরে নেয়া হয়, মহাবিশ্ব তথা গ্রহ-নক্ষত্র একটি কণার বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। বিস্ফোরণের মুহূর্ত থেকেই সময়ের শুরু। বিগ ব্যাংয়ের এই তত্ত্বটি দেন বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। মহাবিশ্বে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব যদি নাই থাকে, তাহলে হকিংয়ের বিখ্যাত বিগ ব্যাং তত্ত্ব নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়তে হবে বিজ্ঞানীদের।


তবে মহাবিশ্বে ব্লাক হোলের অস্তিত্ব আছে কী নেই, এর বস্তুগত প্রমাণ পেতে আরো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আপাতত পরীক্ষামূলক প্রমাণের জন্য বিজ্ঞানী মারসিনি হফটন একটি গাণিতিক ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।


তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪/রাশেদ শাওন

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়