মাঠেই সতীর্থের জ্ঞান হারানো তাতিয়ে দেয় উইন্ডিজকে
মাটিতে লুটিয়ে পড়া কনেলের কাছে ছুটে যান সতীর্থরা
আর এক উইকেট দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তাদের সামনে বাধার দেয়াল তৈরি করেন বাংলাদেশের শেষ জুটির দুই ব্যাটসম্যান নাহিদা আক্তার ও ফারিহা তৃষ্ণা। বাংলাদেশের দরকার ১৯ বলে ১৩ রান। ৪৭তম ওভারের পঞ্চম বলের পর হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল খেলা।
মিডউইকেটে ফিল্ডিং করার সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন শামিলিয়া কনেল। মেডিকেল স্টাফরা দ্রুত মাঠে ঢুকলেন। সতীর্থরা যে যার মতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন কনেলকে সুস্থ করতে। কয়েক মিনিট মাঠের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ছড়াছড়ি। সতীর্থের এই অবস্থায় কে-ই বা ঠিক থাকতে পারে!
কিন্তু এই উদ্বেগকে শক্তিতে পরিণত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক স্টেফানি টেলর বললেন সেই কথা, ‘ওটা ছিল আমাদের জন্য পুনর্গঠিত হওয়ার সময়।’
৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা স্টেফানি টেলর বললেন, ‘এভাবে তাকে পড়ে যেতে দেখাটা ছিল দুশ্চিন্তার। সে একজন লড়াকু, জানি না কী সমস্যা হয়েছিল তার, কিন্তু আশা করি সে ঠিক আছে। সে শক্ত মেয়ে এবং আমরা প্রার্থনা করি সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।’
অবশ্য কিছুক্ষণ পরই নিজে উঠে দাঁড়ান তিন ওভারে ১৫ রান দেওয়া কনেল এবং অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করেন। কয়েক মিনিট পর আবার খেলা শুরু হয় এবং শেষ ওভারে তৃষ্ণার উইকেট নিয়ে তৃতীয় জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচ শেষে কনেল প্রসঙ্গে টেলর বলেছেন, ‘তাকে পড়ে যেতে দেখে কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উজ্জ্বল দিকটির দিকেও তাকাতে হবে, আমাদের জন্য ওই সময়টা ছিল পুনর্গঠিত হওয়ার। আমরা ফিরে গেলাম খেলায় এবং মোমেন্টাম পাল্টে দিলাম।’
ঢাকা/ফাহিম