ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

রাসেল ঝড়ে আট ম্যাচ পর রংপুরের হার

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২২:২৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রাসেল ঝড়ে আট ম্যাচ পর রংপুরের হার

আন্দ্রে রাসেল যখন ক্রিজে এলেন তখন কুমিল্লার জয়ের সমীকরণ ছিল ৩৪ বলে ৪৮ রান। মারকুটে ব্যাটসম্যান সেখান থেকে যা করলেন তা স্রেফ ছড়াল মুগ্ধতা। ২২ গজে খেললেন কেবল ১২ বল। রান করলেন ৪৩। তাতেই নিশ্চিত হয়ে গেল কুমিল্লার ৬ উইকেটে জয়, রংপুরের পরাজয়। রাসেলের শেষ ঝড়ে আট ম্যাচ পর পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল রংপুর। 

অন্যদিকে কুমিল্লা এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসেই ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল কুমিল্লা। টস জিতে রংপুরকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ১৫০ রানে আটকে দেয় কুমিল্লার বোলাররা। জবাবে রাসেলের শেষ তাণ্ডবের আগে লিটনের ৪৩ ও মাহিদুলের ৩৯ রানে ভালো জবাব দিচ্ছিল কুমিল্লা। ফিনিশিংয়ে ক্যারিবীয় হার্ডহিটারের ৪টি চার ও ছক্কায় সাজানো ইনিংস গড়ে দেয় পার্থক্য। 

এর আগে রংপুরের একের পর এক ব্যাটসম্যান যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে তখন কেবল আলো ছড়ান  জিমি নিশাম। তার ৪২ বলে ৬৯ রানের ইনিংসে রংপুর ১৫০ রানের পুঁজি পায়। ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ২ ছক্কায়। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল রনি তালুকদার, ১৪। বাকিরা আউট হয়েছেন সিঙ্গেল ডিজিটে। শুরু থেকে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে ভুগেছে রংপুর। ওপেনার ব্রেন্ডন কিং মাত্র ৪ রানে আউটের পর রনি দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। মাহেদী হাসান ১ ছক্কা মেরেই ইনিংসের ইতি টানেন। অধিনায়ক সোহান এসেছেন আর ফিরেছেন। রান করেছেন ২। ১৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে সাকিব চেনা রূপে থাকলেও অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসেন। এছাড়া টম মুরস (৮), শামীম পাটোয়ারী (২), আবু হায়দার রনি (৭) ভালো করতে পারেননি। নিশামের ব্যাটিংয়ে দ্যুতি ছড়ানোর দিনে কুমিল্লার সেরা বোলার মুশফিক হাসান। ৪ ওভারে ১৮ রাানে ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া আন্দ্রে রাসেলও ৩ উইকেট পেয়েছেন। ম্যাথু ফোর্ডের পকেটে গেছে ২ উইকেট। 

লক্ষ্য তাড়ায় সাকিবের এক ওভারে জোড়া উইকেট হারায় কুমিল্লা। সুনীল নারিন সীমানায় ক্যাচ দেওয়ার পর তাওহীদ হৃদয়ও একই পথ অনুসরণ করেন। সেখান থেকে মাহিদুলকে সঙ্গে নিয়ে লিটন দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন। দুজন ৫৫ বলে ৬৫ রান করেন। কিন্তু ২ রানের ব্যবধানে থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যান আউট হলে কুমিল্লা কিছুটা চাপে পড়ে। কিন্তু রাসেল মাঠে নেমে সব সমীকরণ পাল্টে দেন। চার ছক্কার বৃষ্টি নামিয়ে ম্যাচ সহজ করে দেন। হাসান মাহমুদ তার ব্যাটিং তোপে পুড়েছেন। ডানহাতি পেসাার দুই ছক্কা ও তিন চার হজম করে দেন ২৪ রান। তাতে ম্যাচটা চলে আসে নাগালে। 

জয়ের জন্য যখন ৬ রানের দরকার ছিল তখন মাহেদীকে ছক্কা উড়িয়ে বিজয় নিশ্চিত করেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তার হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার  পুরস্কার। রংপুর হারলেও পয়েন্ট টেবিলে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১২ ম্যাচে ৯ জয়ে তারা ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। এক ম্যাচ কম খেলে ৮ জয় নিয়ে কুমিল্লা আছে দ্বিতীয় স্থানে। 

ঢাকা/ইয়াসিন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়