ঢাকা     শুক্রবার   ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

তিন সেঞ্চুরির ম্যাচে মোহামেডানের জয়ের হাসি

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫২, ২২ এপ্রিল ২০২৪  
তিন সেঞ্চুরির ম্যাচে মোহামেডানের জয়ের হাসি

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের স্কোরকার্ড দেখলে চমকেই যেতে হবে! জোড়া সেঞ্চুরি তাদের ব্যাটিং ইনিংসে। তারপরও রান ২ উইকেটে ২৫৯! ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে তাদের প্রতিপক্ষ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সাইফ হাসান ও তাইবুর রহমান পারভেজ হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। তাদের ধীর গতির সেঞ্চুরির ইনিংসের কারণেই শেখ জামালের রান বড় হয়নি।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর আশি পেরোনো ইনিংস। তাতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় মোহামেডানের। ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় পায় মোহামেডান। 

আরো পড়ুন:

টস জিতে মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল শেখ জামালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। সৈকত আলী ১ ও ফজলে মাহমুদ ১৭ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে সাইফ ও তাইবুর দলের হাল ধরেন। ২১৮ রানের জুটি গড়েন তারা। এ সময়ে সাইফ হাসান তুলে নেন সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের পথেই থাকেন তাইবুর। ১৪৬ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় সাইফ ইনিংসটি সাজান। এরপর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ থেকে উঠে যান। অপরপ্রান্তে থাকা তাইবুর সেঞ্চুরির পর অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ১১৪ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তার ইনিংসটি সাজান। তার সঙ্গে ৪ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন জিয়াউর রহমান। আবাহনীর বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ ২৮ রানে ১ উইকেট নেন। এছাড়া বাকিরা কেউ উইকেট পাননি।

মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে ৪ মেডেনে মাত্র ১২ রান দেন। লক্ষ্য তাড়ায় মোহামেডান শুরুতে ইমরুলকে হারায় ১৫ রানে। রুবেল মিয়া ৮ রান করে আউট হন। অপরপ্রান্তে থাকা রনি তালুকদার ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রান করে জবাব দিলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। জিয়াউরের বলে আউট হন। ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারানো মোহাডোন চতুর্থ উইকেটে জয়ের ভিত পায়। ১৭৯ রানের জুটি গড়েন অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ। শেখ জামালের বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে তারা এগিয়ে যান জয়ের পথে। মাহিদুল শেষ কয়েক ম্যাচে রান পাননি। সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডেই ডানহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১২২ বলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ ৮৮ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ দিকে মোহামেডান মাহিদুল ও মিরাজের উইকেট হারালেও আরিফুল নেমে বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মাহিদুলের হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

ইয়াসিন/আমিনুল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়