ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কামিন্সের হ্যাটট্রিকের পরও দুই ফিফটিতে লড়াকু পুঁজি আফগানদের

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ২৩ জুন ২০২৪   আপডেট: ০৯:০৮, ২৩ জুন ২০২৪
কামিন্সের হ্যাটট্রিকের পরও দুই ফিফটিতে লড়াকু পুঁজি আফগানদের

এই ম্যাচ জিতলেই অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল নিশ্চিত, আর আসরে টিকে থাকতে হলে জয় চাই আফগানদের। এমন ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করলেন দুই আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ, মাঝে হ্যাট্ট্রিক করে লাগাম টেনে ধরেন প্যাট কামিন্স, এরপরও লড়াকু পুঁজি পেয়েছে আফগানরা। দুই ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করেছে রশিদ খানের দল।

রোববার (২৩ জুন) কিংসটাউনে আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই অ্যাস্টন আগারকে চার মেরে শুরু করেন গুরবাজ। এরপর দেখেশুনে খেলতে থাকেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম। দুজন মিলে কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ারপ্লে’তে তোলেন ৪০ রান। এ নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়া পাওয়ারপ্লে’তে কোনো দলের উইকেট নিতে ব্যর্থ হলো। এর আগে ইংল্যান্ড তাদের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে তুলেছিল বিনা উইকেটে ৫৪ রান।

আরো পড়ুন:

পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পরও উইকেট আগলে রানের চাকা সচল রাখেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম। দুজনের জুটিতে অষ্টম ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পার করে অস্ট্রেলিয়া। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে ৫০ বা ততোধিক রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়ার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে ভাগ বসান গুরবাজ-ইব্রাহিম। দুজন চলতি বিশ্বকাপে ৩টি পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েছেন। তাদের আগে এই কীর্তি রয়েছে আরও ৫ জুটির।

দেখেশুনে খেলে ১০ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৬৪ রান। এরপরই চড়াও হতে শুরু করেন দুজন। চর্তুদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে জশ হ্যাজেলউডকে চার মেরে দলকে শতরানের ঘর পার করেন ইব্রাহিম। একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো একক আসরে সর্বোচ্চ শতরানের জুটি গড়ার দিকে দিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেন গুরবাজ-ইব্রাহিম। দুজন মিলে চলতি আসরে তিনটি শতরানের জুটি গড়েছেন।

রেকর্ড গড়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পথে পঞ্চাদশ ওভারের তৃতীয় বলে আগারকে ঠেলে ১ রান নিয়ে ফিফটি পূরণ করেন গুরবাজ। তার ৪৪ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কার মার। একই পথ ধরে পরের ওভারে ব্যক্তিগত পঞ্চাশের দেখা পেয়ে যান ইব্রাহিমও। ৪৫ বলে ৬ চারে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।

ষোড়শ ওভারের পঞ্চম বলে মার্কাস স্টয়নিসকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন গুরবাজ। আউট হওয়ার আগে সমান চারটি করে চার-ছক্কায় ৪৯ বলে ৬০ রান করেন তিনি। গুরবাজের বিদায়ে ক্রিজে আসেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে তাকে টিকতে দেননি জাম্পা। ৩ বলে ২ রান করে ফিরে যান ওমরজাই।

এরপর ইব্রাহিমকেও বিদায় করেন জাম্পা। মিচেল মার্শের ক্যাচ বানিয়ে ইরাহিমকে ফেরান এই লেগ স্পিনার। আউটের আগে ৪৮ বলে ৬ চারে ৫১ রান করেন ইব্রাহিম। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। স্রোতে গা ভাসিয়ে ২ রান করে বিদায় নেন রশিদ খানও। আফগান অধিনায়ককে ফেরান প্যাট কামিন্স।

রশিদকে ফেরানোর এক ওভার পর বোলিংয়ে এসে আবারও ভেলকি দেখেন কামিন্স। এবার তার শিকার করিম জানাত (১৩) ও কোনো রান না করা গুলবাদিন নাইব। সেই সঙ্গে আসরের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক আদায় করে নেন কামিন্স। টানা তিন উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে টানা দুই হ্যাটট্রিক করা একমাত্র বোলার হলেন এই অজি পেসার।

ঢাকা/বিজয়

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়