অধিনায়ক বদলের পর একশও করতে পারেনি রাজশাহী

এনামুল হক বিজয়ের নেতৃত্বে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২০৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ২০২ রান করেছিল দুর্বার রাজশাহী। সেঞ্চুরি করেছিলেন খোদ বিজয়। পরের ম্যাচেই তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় চাপমুক্ত থাকার জন্য। কিন্তু বিজয় নেতৃত্ব ছাড়ার পর চিটাগং কিংসের বিপক্ষে একশও করতে পারেনি পদ্মা পাড়ের দলটি।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৯১ রান করে। নতুন অধিনায়ক তাসকিন আহমেদের নেতৃত্বে খেলতে নেমে মাত্র ৮০ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। পরাজয় ১১১ রানে। নবম ম্যাচে এসে ষষ্ঠ হারে কোয়ালিফায়ারের সম্ভাবনা আরও কঠিন করলো দলটি। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠলো চিটাগং কিংস।
তাড়া করতে নেমে ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে চিটাগং। বিজয়-আকবর আলী জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দুজনের জুটি থেকে ২০ রানের বেশি আসেনি। দলীয় ৪০ থেকে ৮০ রান পর্যন্ত; বাকি ৮ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় রাজশাহী। সর্বোচ্চ ২১ রান করেন বিজয়। ১০ রান আসে আকবরের ব্যাট থেকে। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরের মুখ দেখেননি।
চিটাগংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম-নাঈম ইসলাম। এর আগে ওপেনিংয়ে নেমে ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন নাঈম ইসলাম। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হন নাঈম।
গ্রাহাম ক্লার্কের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪৫ রান। ২০ বলে ৩২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন।
এ ছাড়া হায়দার আলী ১৪ বলে ২৫ ও রাহাতুল ফেরদাউস ৮ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজিতে অবদান রাখেন। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ-মোহর শেখ।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল