দিশেহারা ব্যাটিংয়ের পর নির্বিষ বোলিং
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

বাংলাদেশ: ১৯১/১০ (৬১ ওভার)
জিম্বাবুয়ে: ৬৭/০ (১৪ ওভার)
যেই উইকেটে খাবি খেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেখানে আলো ছড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ড ৬৭ রান জমা করে দিন শেষ করে সফরকারীরা। বেনেট ৪০ ও কারান ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। চার বোলার ১৪.১ ওভার বোলিং করে কোনো উইকেটের দেখা পাননি। এর আগে ১৯১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
১৯১ রানে অলআউট বাংলাদেশ
চা বিরতিতে যাওয়ার আগে জাকের-হাসান প্রতিরোধ গড়েছিলেন। বিরতির পর দুজনে এসে লড়াই করতে থাকেন। এগোচ্ছিলেন সাবলীলভাবে। হঠাৎ আউট হন হাসান। ১৯ রানে হাসান আউট হলে ভাঙে জাকেরর সঙ্গে গড়া জুটি। এরপর জাকেরও ফেরেন ২৮ রানে। এই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশ মাত্র ৪ রান করতে পারে। দ্বিতীয় সেশনে ৫ উইকেট হারিয়ে মূলত বাংলাদেশের ছন্দপতন ঘটে। সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মমিনুল হক। ৪০ আসে শান্তর ব্যাট থেকে। সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন মুজারাবানি-মাসাকাদজা।
৭ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
তাইজুলও হাল ধরতে পারেননি। ৩ রানে ফেরেন তিনি। তাতে দেড়শ না হতেই বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। প্রথম সেশনে মাত্র ২ উইকেট নিতে পেরেছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনে ৫ উইকেট নিয়ে সেশনটি নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা। ক্রিজে একমাত্র ভরসা হয়ে আছেন জাকের আলী। তার সঙ্গী হাসান মাহমুদ।
দাঁড়াতেই পারলেন না মিরাজ
নতুন স্পেলে ফিরে টানা শর্ট বল করে যাচ্ছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি। দীর্ঘদেহী পেসারের লাফিয়ে ওঠা বলটা এমনভাবে মিরাজ খেললেন, যেন আজই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তার! ডাক করতে গিয়ে গ্লাভসে বল লাগিয়ে ফেলেন মিরাজ, ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে। যাওয়ার আগে করেন ১ রান। মাত্র ১৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে মহাচাপে বাংলাদেশ।
আক্রমণাত্বক হতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে আসলেন মুমিনুল
সোজা মিড উইকেটে তুলে দিয়েছেন মুমিনুল হক। একদম মামুলি একটা বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন তিনি। মুশফিক আউট হওয়ার পর আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে খেলছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ফ্লাইট দিয়ে বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে করেন মাসাকাদজা। মুমিনুল আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন যে স্লগ সুইপ খেলবেন। কিন্তু ব্যটে বলে হয়নি সেটা। সরাসরি গিয়ে ধরা পড়ে নিরাপদ হাত মাধেভেরার কাছে।
প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ মুশফিক
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলটি ছিল একদম নিরীহ। মুশফিকের অন্তত এই বলে আউট হওয়ার কোন কারণ ছিল না। অথচ বাঁহাতি স্পিনার শর্টপিচে ফেলা বলটি মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। মুশি ফিরেছেন ৪ রান করে। দলীয় রান ৪ উইকেটে ১২৩।
ক্যাচ প্র্যাকটিস করে আউট হলেন শান্ত
মুজারাবানির শর্ট বলে যেন ক্যাচ প্র্যাকটিস করে আউট হলেন শান্ত। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল খেলে বসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো মাধভেরের হাতে গিয়ে পড়ে। ৬৯ বলে ৪০ রানে ফেরেন শান্ত। বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট। ক্রিজে মমিনুলের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। শান্তর আউটের পর ৩৪.৮ ওভারে বাংলাদেশ দলীয় শতরান পূর্ণ করে।
বৃষ্টির পর শুরু হয়েছে খেলা
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরও খেলা বন্ধ থাকল আধঘণ্টা, কারণ বৃষ্টি। বিরতির সময়কার সেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বেশিক্ষণ থাকেনি, তাই মাঠ শুকাতেও সময় লাগেনি।
বিরতিতে বৃষ্টির হানা
সিলেটে প্রথম সেশনের পরপরই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে আবহাওয়া মেঘলা ছিল। সময়ের সাথে সাথে কিছুটা কালো হয়েছে আকাশ। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় জ্বালাতে হয়েছে ফ্লাডলাইট। বিরতির কিছু সময় পর বৃষ্টি হানা দেয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এখন মাঠের কিছু অংশ, উইকেট কাভার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
৩২ রানে দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পর প্রতিরোধ গড়েন মমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে ৫২ রানের জুটি গড়েন। দুই ব্যাটারকেই দেখা যাচ্ছে সাবলীল। শান্ত খেলছেন কিছুটা আগ্রাসী। আর মমিনুল ধরে খেলছেন এক প্রান্তে। শান্ত ৩০ ও মমিনুল ১৬ রানে অপরাজিত। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৪।
১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারালো বাংলাদেশ
১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে জয় সাদমানের আউটের পর মাত্র ১ রান হতেই সাজঘরে ফিরলেন মাহমুদুল হাসান জয়। সিক্সথ স্ট্যাম্পের বলে বেরিয়ে এসে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন জয়। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছনে। ৩৫ বলে ১৪ রান করেন এই ব্যাটার। ক্রিজে মুমিনুলের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।
সাজঘরে সাদমান
বাংলাদেশ ইনিংসে ছন্দপতন। দলীয় ৩১ রানে ফিরলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। নাইউচির আউটসাইড অফের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েন গালিতে। দারুণ ক্যাচ নেন বেনেট। ২৩ বলে ১২ রান করেন এই ওপেনার। ক্রিজে এলেন মুমিনুল হক।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয় রোববার সকাল ১০টায়। সরাসরি দেখা যাবে বিটিভিতে।
বাংলাদেশ একাদশ
বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে তিন পেসার নিয়ে। নাহিদ রানার সঙ্গে আছেন খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। স্পিনে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।
একাদশে যারা সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
বেন কুরান, ব্রায়ান বেনেট, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধভেরে, নিয়াশা মায়াভো (উইকেটরক্ষক), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর নাইউচি।
মুখোমুখি লড়াই
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ১৮টি টেস্ট খেলেছে। তাতে শান্তরা জয় পেয়েছেন ৮টিতে আর হেরেছেন ৭টিতে। ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সবশেষ ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসেছিল জিম্বাবুয়ে। সেবার ধবলধোলাই হয় সফরকারীরা। এরপর ২০২১ সালে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েতে খেলতে যায়। সেবারও জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ