সেঞ্চুরিতে জয়ের ফেরা
৩১ মার্চ ২০২২। ডারবানে মাহমুদুল হাসান জয়ের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।
১২ নভেম্বর ২০২৫। সিলেটে জয়ের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি।
মাঝের লম্বা সময়টা কেবল হাহাকারের গল্প। তিনবার ফিফটি ছুঁয়েও সেঞ্চুরির কাছাকাছি যাওয়া হয়নি। তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল শূন্য দিয়ে। প্রথম সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় সেঞ্চুরির মাঝে ৩১ ইনিংসেও শূন্য মিছিল, ৬টি। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির আগে সবশেষ ১৭ ইনিংসে তার ফিফটি ছিল না। ১৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৭ বার। দুঅঙ্ক ছোঁয়ার আগে আউট হয়েছেন আরও ৭ বার। তার পরও দফায় দফায় তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার বলেই।
সঙ্গে টপ অর্ডারের বাকিদের ব্যর্থতাও অন্যতম কারণ ছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে তার উপরেও ‘হাল’ ছেড়ে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে জয় আবার রানে ফিরলেন। এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলে বাদ পড়ার পর জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম রাউন্ডে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছিলেন। পরের রাউন্ডে একটিতে ৩৫। আরেকটিতে অপরাজিত ২৫। নির্বাচকরা তার ব্যাটিংয়ে খানিকটা খুশি হয়ে আবার দলে নিলেন। সেই প্রতিদান দিলেন সিলেটে। আইরিশ বোলারদের ভালোমতো সামলে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি নাম্বার টু। ৭২ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন। সেঞ্চুরি পৌঁছতে খেলেন আরো ১১৮ বল। ইনিংসটি সাজাতে একবারও ধৈর্যচ্যুতি হয়নি তার।
সাদমানের সঙ্গে তার জুটি ছিল ১৬৮ রানের। যা টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। সাদমান ৮০ রান করে আউট হলেও জয় সেঞ্চুরি পাবেন সেই জেদ করেই রেখেছিলেন। কাজের কাজও হয়েছে। পেসার জর্ডান নেইলের বুক তাক করা বাউন্স লাফিয়ে সুন্দর কাট শটে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারের দেখা পেয়ে যান জয়।
ওপেনিংয়ে সাদমান লম্বা সময় ধরেই থিতু হয়েছেন। সাত মাস পর জাতীয় দলে ফিরে জয় নিজের ছাপ রাখলেন। দেখার বিষয় এই ধারাবাহিকতায় থাকতে পারেন কিনা।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল