ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতা

শিহাব শাহরিয়ার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২১, ২২ অক্টোবর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতা

কবি শামসুর রাহমান

শিহাব শাহরিয়ার

 

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সবচেয়ে বেশি কবিতা লিখেছেন বোধয় প্রয়াত প্রধান কবি শামসুর রাহমান। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় তিনি ঢাকা এবং নিজগ্রাম নরসিংদীর মেঘনা নদীর পাড়ে পাড়াতলিতে বসে যুদ্ধগাঁথা ‘বন্দী শিবির থেকে’ কাব্যগ্রন্থটি লিখেছিলেন। সেই গ্রন্থের আলোকজ্জ্বোল ও সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাটি হলো ‘স্বাধীনতা তুমি’। এই কবিতার প্রথম দু’চরণ ‘স্বাধীনতা তুমি/ রবি ঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান’।

 

এই যে অমূল্য প্রাপ্তি স্বাধীনতা এই মহান শব্দটি নিয়ে আরও অসংখ্য কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক. গবেষক মুক্তিযোদ্ধারা সহস্র রকম লেখা লিখেছেন। স্বাধীনতা সত্যিকার অর্থেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার মতোই মুক্ত বলাকা, যে বলাকা রৌদ্রকরোজ্জ্বল দুপুরে শুধু পাখা মেলে উড়ে বেড়ায়। সামনে থাকে সাদা মেঘের ভেলা। পেছনে পড়ে থাকে অন্ধকার।

 

এই যে অন্ধকার। এই অন্ধকার হলো আমাদের পরাধীনতা, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠির ২৪ বছরের শোষণ, শাসন, নিপীড়িন, নির্যাতন। এই অন্ধকার হলো দুই শ’ বছরের শাসনের কারণে অন্ধকার। এই অন্ধকার হলো পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, মোগল, বখতিয়ার খিলজি, আর আর্যদের দখলদারিত্ব, অধিকারিত্ব এবং অযাচিত শাসন, ব্যবসা-বাণিজ্যের নামে লুটতরাজ। অর্থাৎ আড়াই হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক নিরীহ বাঙালিদেরকে বঙ্গবন্ধুর ভাষায় দাবায়ে রাখার নামই হলো অন্ধকার।

 

হিমালয় পর্বত থেকে নেমে আসা ৫৪টি নদীর পলিতে গড়ে উঠা আমাদের এই পূর্ববঙ্গ সোনালি আঁশের দেশ। সবুজ ধানের দেশ। বাউলা বাতাসের দেশ। ইলিশ, কাঁঠাল, শাপলা, দোয়েল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেশ। সুন্দরবন আর দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের দেশ। মসলিন, জামদানি আর নকশি কাঁথার দেশ। আধুনিক বাংলা কবিতার উদগাতা মাইকেল মধুসূদন দত্ত সুদূর ইতালির ভার্সাই নগরে বসে মমতামাখা এমন মাতৃভূমির ভালোবাসায় উচ্চারণ করেছিলেন ‘হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন’ কিংবা রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলাকে ভালোবেসে বললেন ‘আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে’

 

এই যে বিবিধ রতনসমৃদ্ধ বাংলা, এই যে নদী-মেঘলা বাংলা, এই বাংলাকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনতে অর্থাৎ স্বাধীনতার জন্য বাঙালিদের দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়। ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে আসে বিজয় ও স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার জন্যে কত যে রক্তক্ষরণ তা শামসুর রাহমানের বন্দী শিবির থেকে গ্রন্থের তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা কবিতাটি পড়লেই আমরা বুঝতে পারি সেই রক্তক্ষরণ। প্রিয় পাঠক পুরো কবিতাটি আবারও পাঠের জন্য তুলে ধরছি।

 

‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,

তোমাকে পাওয়ার জন্যে

আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?

আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?

 

তুমি আসবে ব’লে হে স্বাধীনতা,

সাকিনা বিবির কপাল ভাঙলো,

সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল হরিদাসীর।

তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,

শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো

দানবের মতো চিৎকার করতে করতে

তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা,

ছাত্রবাস, বস্তি উজাড় হলো। রিকয়েললেস রাইফেল

আর মেশিনগান খই ফোটালো যত্রতত্র।

তুমি আসবে ব’লে ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম।

তুমি আসবে ব’লে বিধ্বস্ত পাড়ায় প্রভুর বাস্তুভিটার

ভগ্নস্তুপে দাঁড়িয়ে একটানা আর্তনাদ করলো একটা কুকুর।

তুমি আসবে ব’লে, হে স্বাধীনতা  

অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিলো পিতা-মাতার লাশের ওপর।

 

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে

আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?

আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডাবদাহন?

স্বাধীনতা, তোমার জন্যে থুত্থুরে এক বুড়ো

উদাস দাওয়ায় ব’সে আছেন, তাঁর চোখের নিচে অপরাহেৃর

দুর্বল আলোর ঝিলিক, বাতাসে নড়ছে চুল।

স্বাধীনতা, তোমার জন্যে

মোল্লাবাড়ির এক বিধবা দাঁড়িয়ে আছে

নড়বড়ে খুঁটি ধ’রে দগ্ধ ঘরের।

স্বাধীনতা, তোমার জন্যে

হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে

ব’সে আছে পথের ধারে।

তোমার জন্যে,

সগীর আলী, শাহবাজপুরের সেই জোয়ান কৃষক,

কেষ্ট দাস, জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লোকটা,

মতলব মিয়া, মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি,

গাজী গাজী ব’লে যে নৌকা চালায় উদ্দাম ঝড়ে

রুস্তম শেখ, ঢাকার রিক্সাওয়ালা, যার ফুসফুস

এখন পোকার দখলে

আর রাইফেল কাঁথে বনে-জঙ্গলে ঘুরে-বেড়ানো

সেই তেজী তরুণ যার পদভারে

একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হ’তে চলেছে-

সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা।

 

পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জ্বলন্ত

ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,

নতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক

এই বাংলায়

তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা।’

(তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা; পৃষ্ঠা- ৮০-৮১)

 

এই একটি কবিতার মধ্যেই যেন ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের চিত্র ফুটে উঠেছে। কবি বলছেন, স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য রক্তগঙ্গায় ভাসতে হচ্ছে, খাণ্ডাবদাহনের স্বীকার হতে হয়েছে, একজন সকিনা বিবি, একজন হরিদাসীর মতো শত-সহস্র, লক্ষ-কোটি নারীর জীবন দুর্বিষহ হয়েছে, বিপর্যয় নেমে এসেছে, যে শহর বা নগর ছিল শান্ত-স্নিগ্ধ, প্রকৃতিঘেরা সাধারণ মানুষের আবাস ও কর্মেমুখর স্থল- সেই শহরে কবির ভাষায়, দানবের মতো চিৎকার করে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এসে সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে, নানা ধরনের অস্ত্র-শস্ত্রে ভরে যাচ্ছে মানুষের নিভৃত বুক চিরে দেয়ার জন্য, দেবার জন্যে নয়- পরের চরণগুলোতেই আছে, মা-বাবার লাশের ওপর হামাগুড়ি খাচ্ছে অবুঝ শিশু।

 

এসব দেখে বেদনা আর আর্তনাদে ফেটে পড়ছে পথের কুকুর। জীবনের সায়াহেৃ এসে বৃদ্ধটি উদাসীন চোখে পড়ন্ত বিকেলকে, যে বিকেলের ভিতর তেজ নেই, আলো নেই, প্রতীক অর্থেই যেন অন্ধকার নেমে আসছে। স্পষ্ট করেই কবি বলছেন, মোল্লাবাড়ির বউ। যে বউয়ের সুখের স্বপ্ন তছনছ হয়ে যাচ্ছে। বউটি যে খুঁটি ধরেছে সেটিও নড়বড়ে এবং পুড়ে দগ্ধ হয়ে গেছে।

 

ঘরের পাশেই ধূলিমাখা চিরচেনা পথ। হয়ত প্রিয় কোনো স্বজনের জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে বা যার কোনো ঘরই নেই সেই অনাথ, অবহেলিত কিশোরী আহারের জন্য প্রহর গুনছে। এরপর কবি আরও ভিতরে প্রবেশ করে বলছেন- পূর্ববাংলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কথা, কৃষক-জেলে-মাঝি-রিক্সাওয়ালার কথা। যারা বাস করে শাহবাজপুরে, মেঘনা নদীর পাড়ে এবং ঢাকায়। এরা হলেন- সগীর আলী, কেষ্ট দাস, মতলব মিয়া ও রুস্তম শেখ। এই বিভিন্ন পেশার মানুষসহ একজন তাজা তরুণের কথা কবি বলেছেন, আমরা ধরে নিতে চাই সেই তরুণটি কোনো কলেজে অথবা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, যে কলম ফেলে রাইফেল হাতে নিয়েছে এবং সেই রাইফেল দিয়ে যুদ্ধ করে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছে। কবির ভাষায়, একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হবে অর্থাৎ পৃথিবীর মানচিত্রে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম জাতির, একটি দেশের জন্ম হবে, যার নাম বাংলাদেশ- মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করছে।

 

কবিতার সবশেষ স্তবকে কবির আত্মবিশ্বাস, সাহস এবং দৃঢ়তার সঙ্গে বলছেন, সারা পৃথিবীকে জানান দিয়ে, সমস্ত আয়োজনের মাধ্যমে, একটি নতুন লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধারা আসছে। এবং শেষ চরণে বলছেন, ‘তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনত’।

 

স্বাধীনতা এলো। সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হলো। অনেক কষ্ট, ত্যাগ-তীতিক্ষা, দুঃখ-বেদনা, অনেক রক্ত-জীবন হারিয়ে অর্থাৎ অন্ধকার থেকে কাঙ্খিত আলোর মুখ দেখল তামাটে জাতি। এই স্বাধীনতা দেখতে কেমন, কী তার রং-রূপ, কী তার সৌন্দর্য- প্রিয় পাঠক, আসুন স্বাধীনতার কবি শামসুর রাহমানের স্বাধীনতা তুমি কবিতাটি পুনরায় পাঠ করি:         

 

‘স্বাধীনতা তুমি

রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।

স্বাধীনতা তুমি

কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাররি দোলানো

মহান পুরুষ, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা-

স্বাধীনতা তুমি

শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা

স্বাধীনতা তুমি

পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল।

স্বাধীনতা তুমি

ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি।

স্বাধীনতা তুমি

রোদেলা দুপুরে মধ্য পুকুরে গ্রাম মেয়ের অবাধ সাঁতার।

স্বাধীনতা তুমি

মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী।

স্বাধীনতা তুমি

অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক।

স্বাধনীতা তুমি

বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর

শানিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ।

স্বাধীনতা তুমি

চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ।

স্বাধীনতা তুমি

কালবোশেখীর দিগন্তজোড়া মত্ত ঝাপটা।

স্বাধীনতা তুমি

শ্রাবণে অকুল মেঘনার বুক

স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের  উদার জমিন।

স্বাধীনতা তুমি

উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন।

স্বাধীনতা তুমি

বোনের হাতের নম্র পাতায় মেহেদীর রঙ।

স্বাধীনতা তুমি

গৃহিণীর ঘন খোলা কালো চুল,

হাওয়ায় হাওয়ায় বুনো উদ্দাম।

স্বাধীনতা তুমি

খোকার গায়ের রঙিন কোর্তা,

খুকীর অমন তুলতুলে গালে

রৌদ্রের খেলা।

স্বাধীনতা তুমি

বাগানের ঘর, কোকিলের গান,

বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা,

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাততা।’

(স্বাধীনতা তুমি, শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা; পৃষ্ঠা- ৮১-৮২)

 

স্বাধীনতা কী অমূল্য সম্পদ! সূর্যের আলো যেমন সব জায়গাকে আলোকিত করে, এমন কি খোলা জানালা দিয়ে ঘরের প্রতিটি কোণা, তেমনি স্বাধীনতা ছড়িয়ে গেছে সবখানে। লক্ষণীয় কবি স্বাধীনতাকে আপন করে নিয়ে বলছেন- হয়ত মায়ের মতো, হয়ত বোনের মতো, হয়ত প্রেমিকার মতো করে। এবং এটিও খেয়াল করার বিষয় যে বার বার স্বাধীনতা তুমি ব্যবহার করছেন। যেন এই শব্দটি থেকে আনন্দের রস বেরিয়ে আসছে। দেখা যাচ্ছে আগের কবিতাটিতে যেসব জায়গায়  পরাধীনতার ছায়া ছিল, এই কবিতায় সেসব জায়গায় রৌদ্র খেলা করছে।

 

রবি ঠাকুরের অজর কবিতার কথা শুরুতেই বলেছি। পরের চরণে নজরুলের কথা বলেছেন, যিনি সৃষ্টির স্বাক্ষরে মহান পুরুষ। এরপর আমাদের স্বাধীনতার প্রথম ধাপ- ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত মিনার, শ্লোগান মুখর মিছিল, ফসলের মাঠ, কৃষকের হাসি, কিশোর-কিশোরী, যুবক, মুক্তিযোদ্ধার, ছাত্রদের, সাধারণ মানুষ, বাবা, মা, বোন, বন্ধু, গৃহিণী, খোকা, খুকির অনাবিল আনন্দ আর প্রকৃতির রূপময়তা এবং সবশেষে কবির নিজের আনন্দ। এই যে আনন্দের বন্যা ছড়িয়ে দিয়ে, উপমা-রূপক ও ছন্দ দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে বর্ণনা করলেন- তা শামসুর রাহমান পেরেছেন।

 

যতবারই আমরা মার্চের স্বাধীনতায় উপনীত হবো, ততবারই কবি শামসুর রাহমানের তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা তুমি কবিতা দুটো পাঠ করবো। শাণিত হবে আমাদের চেতনা, স্মরণ হবে মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশকে ভালোবাসার প্রাণ জেগে উঠবে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ অক্টোবর ২০১৫/আমিনুল ই শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়