ঢাকা     বুধবার   ০১ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

স্বাধীনতা অর্জনে আনসার বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

হাসমত আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্বাধীনতা অর্জনে আনসার বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে এ বাহিনীর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের সফিপুরে আনাসার ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৬তম জাতীয় সমাবেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনী জনগণের বাহিনী। এদেশে সর্ববৃহৎ ও তৃণমূল বাহিনী হিসেবে এ বাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম। জাতির পিতার ডাকে সাড়ে দিয়ে আনসার বাহিনীর বহু সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং জীবন দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে গার্ড অব অনার দিয়েছিল আনসার বাহিনী।

এছাড়া যখন বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। বাস, ট্রাক, রেল প্রাইভেটকার এমনকি রিকশা কোনো কিছুই তাদের হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছিল না। সেই সময় অপারেশন ‘রেল রক্ষা’ ছাড়াও মহাসড়কে নাশকতা ঠেকাতে আনসার বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসিত বলেন শেখ হাসিনা।

সাম্প্রতিক সময়ে পৌরসভা নির্বাচনে আনসার বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,  জাতির যে কোনো প্রয়োজনে আনসার বাহিনী সাহস, সততা ও একাগ্রতার পরিচয় দিয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সব সদস্যের প্রতি বাংলার জনগণের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার। দেশের সর্বত্র সড়ক ও রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু ও দেশের সর্বপ্রথম কর্ণফুলি নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্প সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বাক্ষর বহন করে।’

ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৪ লেনসহ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে ঢাকা-সিলেট মহসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করা হবে। বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় এক হাজার ৩১৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে দেড় কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিদুৎ উৎপাদন ১৪ হাজার ৭৭ মেগাওয়ার্টে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি গত সাত বছরে ১০০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে বর্তমান সরকার।

তিনি বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করব। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পাচ্ছে। কারণ আমাদের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশে উন্নীত করেছি। এই অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্য, প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশে উন্নীত করা। আমাদের রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের আর কারো কাছে হাত পেতে চলতে হবে না।

সমাবেশে প্রাধানমন্ত্রী সেবা ও সাহসিকতা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ আনসার পদক ও রাষ্ট্রপতি আনসার পদক এবং বাংলাদেশ ভিডিপি পদক ও রাষ্ট্রপতি ভিডিপি পদক দেবেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ.ক.ম মোজাম্মেল হকসহ বিভিন্ন দফতরের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা ছিলেন।

 

 


রাইজিংবিডি/ গাজীপুর/ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ হাসমত আলী/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়