ছেলেকে গ্রেপ্তারের কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সেই বৃদ্ধা মা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ‘মোর (আমার) ছুয়াডাক (ছেলেকে) নাকি পুলিশ ধরিছে (ধরেছে), পুলিশ তো ছুয়াডাক (ছেলেকে) এলা (এখন) মারিবে (মারবে)। ছুয়াডার (ছেলের) বাপ (বাবা) মরে (মারা) যাওয়ার পর কত কষ্ট করে বড় করিছু (করেছি)।
মোক (আমাকে) মারার তানে (জন্য) ছুয়াডাক (ছেলেকে) পুলিশে ধরেছে। পুলিশ তো মারিবে এলা, (মারবে এখন)। মুই চাও না ছুয়াডাক পুলিশ মারুক (আমি চাই না পুলিশ আমার ছেলেকে মারুক)। ছুয়াডাক (ছেলেকে) জন্ম দিয়া বড় করতে কত কষ্ট হয়ছে (হয়েছে)।
বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা মা ছেলেকে গ্রেপ্তারের কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে এ সব কথা বলেন।
১৫ আগস্ট দুপুরে ছেলের বউয়ের কাছে ভাত খেতে চেয়েছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের তসলিমা বেওয়া। এ কথা ছেলে দবির উদ্দিন জানতে পেরে লাঠি দিয়ে মাকে নির্যাতন করেন। লাঠির আঘাতে তসলিমার বাম চোখ থেঁতলে যায়।
মাকে নির্যাতনের অভিযোগে ছেলে দবির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ওই বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে তিনি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার ওসি রুহুল কুদ্দুস জানান, বুধবার রাতে পুলিশ দবির উদ্দিনকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, তসলিমার স্বামী সফির উদ্দীন ৩০ বছর আগে মারা যান। তিনি ছেলেদের জায়গা জমি দিয়ে গেছেন। কিন্তু তারা তাদের মাকে দেখভাল করতে অনীহা প্রকাশ করে আসছিল।
রাইজিংবিডি/ঠাকুরগাঁও/১৮ আগস্ট ২০১৭/তানভীর হাসান তানু/উজ্জল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন