ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বিএনপি অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচনে আসতে বাধ্য: কাদের

বিএম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিএনপি অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচনে আসতে বাধ্য: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষায় বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য সাতক্ষীরায় যাওয়ার পথে যশোরের রাজারহাটে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভাঙা রেকর্ড বাজতেই থাকে। তারা বলে গেল রে গেল, গণতন্ত্র গেল। গেল রে গেল, নির্বাচন গেল। আগে বলতো বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হয়ে গেল। সেই পুরোনো স্লোগান তারা বার বার দিচ্ছে। বিএনপির এবার নির্বাচনে না আসার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে তাদের আসতেই হবে।

কাদের বলেন, যদি তারা রাজনৈতিক অস্তিত্বকে আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে না চায়, তাহলে নির্বাচনে আসা তাদের জন্য জরুরি। তারা এটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না। কারণ তারা আরো সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। আগামী নির্বাচন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। বিএনপি যদি না আসে, তাহলে সেই সুযোগ হাত ছাড়া করবে তারা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির দুর্নীতির কেচ্ছা কাহিনীর থলের বিড়াল মিউ করে বেরিয়ে আসছে। কাতার, সৌদি আরবে দুর্নীতির খবর প্রকাশ হয়েছে। কানাডার আদালত তো রায় দিয়েছে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির রায়ও হয়েছে। বাংলাদেশের আদালতেও অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে। এগুলোকে বিএনপি কি অস্বীকার করতে পারে?। কানাডার, সিঙ্গাপুরের আদালতের রায়কে কি তারা অস্বীকার করতে পারে?।

তিনি বলেন, শুধু দুর্নীতি না, কানাডা বিএনপির এক নেতাকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। তারা বলেছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না। কানাডা কি আমাদের সরকারের আদালত? নাকি সরকারি হস্তক্ষেপে এই রায় দিয়েছে কানাডা?

মন্ত্রী বলেন, কয়েক দিন আগে একটি পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে ঢাকা শহরের কিলার গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছে বিএনপির সুইডেন প্রবাসী এক নেতা। দুই বছর আগে সুইডেনে পাঠিয়ে দেওয়া ওই নেতা ঢাকা শহরের কিলার নিয়ন্ত্রণ করছে।  দেশে খুন গুমের সঙ্গে বিএনপি নেতার ওই কিলিং গ্রুপ জড়িত কি না ঘোরতর সন্দেহ হচ্ছে আমাদের।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, যশোর-২ আসনের এমপি মনিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলদার প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/যশোর/১২ ডিসেম্বর ২০১৭/বি এম ফারুক/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়