ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

খোলা আকাশের নিচে ১১৯ কোটি টাকার সার

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খোলা আকাশের নিচে ১১৯ কোটি টাকার সার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: খুলনার শিরোমনি, বয়রা, সাত নম্বর ঘাট এলাকায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন ইউরিয়া সার।

খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা এই সারের মূল্য ১১৯ কোটি টাকা।

এক বছর আগে এই সার আমদানি করা হয়েছিল সৌদি, কানাডা, বেলারুশ ও মরক্কো থেকে। তারপর ঠাঁই মেলেনি কোন গুদামে। বিএডিসি’র বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা মহানগরীর বয়রা ও রুজভেল্ট জেটির গুদামে ঠাঁই নেই। তাই খোলা আকাশই এসব সারের ঠিকানা।

এ অবস্থায় আরও ২০ হাজার মেট্রিক টন সার নিয়ে তিনটি জাহাজ এ মাসে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।

এখন বোরো ধানের ভরা মৌসুম। নন ইউরিয়া সারের চাহিদা কম। তারপরও চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ নন ইউরিয়া সার আমদানি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এক বছর আগে বোরো মৌসুমে চাহিদার প্রয়োজনে সৌদি, বেলারুশ, কানাডা, মরক্কো ও তিউনিশিয়া থেকে  ডিএপি-এমওপি সার আমদানি করা হয়।



সূত্র জানায়, বিএডিসি’র বাগেরহাট গুদামে ৪শ’ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে সাড়ে ৪শ’ মেট্রিক টন, সাতক্ষীরা গুদামে ৪শ’ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে সাড়ে ৫শ’ মেট্রিক টন, খুলনার বয়রা গুদামে আড়াই হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে ৩ হাজার মেট্রিক টন এবং রুজভেল্ট জেটি গুদামে ৩ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন নন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি গুদামের বাইরে শিরোমনি, বয়রা ও সাত নম্বর ঘাট এলাকায় ৬৯ কোটি টাকার মূল্যের ৩০ হাজার মেট্রিক টন ড্যাপ, ২৬ কোটি টাকা মূল্যের ২০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি এবং ২৪ কোটি টাকা মূল্যের ১২ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিএডিসি (সার) এর খুলনাস্থ যুগ্ম পরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ সার মজুদ করা হয়েছে। আপদকালীন সময় সংকট নিরসনের জন্যই মজুদ বাড়ানো হয়। ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখার কারণে নন ইউরিয়া সারের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে না।

তার দেওয়া তথ্য মতে, বেলারুশ থেকে সী ডলফিন নামক জাহাজ ১০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি, মরক্কো থেকে ভেনটেজ রিক নামক জাহাজ ৭ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি এবং সৌদি থেকে ময়ূরী নারী নামক জাহাজ ৩ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।

সার আমদানিকারক এসএস শিপিং এর কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন জানান, ২০১৮ সালের বিভিন্ন সময় এসব সার খুলনার সাত নম্বর ঘাটে আনা হয়। আমদানীকারক এ প্রতিষ্ঠান গেল বছর ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করে।

অপর আমদানিকারক নওয়াপাড়া ট্রেডার্সের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, খোলা আকাশের নিচে সার রেখে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। এক বস্তা সার নষ্ট হলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। বিএডিসি’র গুদামে ঠাঁই না থাকায় তারা আমদানিকৃত সার বুঝে নিচ্ছে না। ফলে খোলা আকাশের নিচে মোংলা বন্দরের স্থান ভাড়া নিয়ে সার রাখা বাবদ মাসে ৪৫ লাখ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে।



রাইজিংবিডি/ খুলনা/ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়