ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার ৬৮ বছর করে কারাদণ্ড

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার ৬৮ বছর করে কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋণ জালিয়াতির পৃথক চার মামলায় ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রাক্তন পাঁচ কর্মকর্তাকে ৬৮ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলাগুলোর মধ্যে একটি করে মামলায় দুই আসামির ১৭ করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আসামিদের ৪ কোটি ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ডেরে ৪ কোটি ২ লাখ টাকার মধ্যে ৪ কোটি টাকা আদায়পূর্বক রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া রায়ে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার প্রাক্তন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

৬৮ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. হারুন, প্রাক্তন সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম মাহামুদ উল্লাহ, প্রাক্তন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন, প্রাক্তন ইভিপি মো. কামরুল ইসলাম এবং ইভিপি মো. ফজলুর রহমান।

১৭ বছর করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত দুই আসামি হলেন-মেসার্স নুর অ্যান্ড সন্সের মালিক তরিকুল ইসলাম ও মেসার্স আফাজ উদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক মো. সালাহ উদ্দিন। এদের দণ্ডবিধির একটি ধারায় ১০ বছর করে এবং অন্য ধারায় ৭ করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

৬৮ বছর করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের প্রত্যেক মামলায় দণ্ডবিধির একটি ধারায় ১০ বছর করে এবং অন্য ধারায় ৭ করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডিত আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার পর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

চার মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরষ্পর যোগসাজসে মেসার্স আফাজ উদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক মো. সালাহ উদ্দিন, মেসার্স ইভানটেল এর মালিক মোশারফ হোসেন সবুজ, মেসার্স নুর-এ সন্সের মালিক মো. নুর আহমেদ এবং মেসার্স আনোয়ারা ইলেকট্রনিক নামীয় অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ১ কোটি টাকা করে ঋণ প্রদান করে আত্মসাৎ করেন।

ওই অভিযোগে ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল লতিফ মতিঝিল থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন।

মামলাগুলো তদন্তের পর ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এবং ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দুদকের উপ-পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাগুলোয় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেন্বর আদালত চার্জগঠন করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ এপ্রিল ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়