ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সাত কলেজে মাস্টার্সের ফল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০২, ২২ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাত কলেজে মাস্টার্সের ফল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আবু বকর ইয়ামিন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের মাস্টার্স পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। ঢাবিতে অধিভুক্ত হওয়ার পর এটিই প্রথম ফল প্রকাশ। কিছু কিছু বিভাগে ভালো ফল হলেও কিছু বিভাগে পাসের হার ও ফল ছিল খারাপ।

এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এসব কলেজের সদ্য মাস্টার্সের ফল পাওয়া শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সামছুল হক বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মাস পর আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেদিক থেকে আমরা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। পরীক্ষার পর আরেকটা চিন্তা ছিল যে কেমন ফলাফল আসে সে বিষয়ে। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো ফল এসেছে। আমাদের কলেজ থেকে দুই-একজন ছাড়া বাকি সবাই পাস করেছে এবং ভালো রেজাল্ট হয়েছে। তবে আমি আশা করব, ভবিষ্যতে পরীক্ষাগুলোর নেওয়ার বিষযে কর্তৃপক্ষ যেন আরো বেশি সচেতন থাকে।

তিতুমীর কলেজের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ উদ্দীন বলেন, আমার পড়াশোনার ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে আমাদের সাথে অনেক খারাপ আচরণ করেছিল। যা আমরা আশা করিনি। অনেক দিন পরে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। আমাদের অনেকেরই খারাপ ফল হয়েছে। ইংলিশ ও ম্যাথসহ কিছু ডিপার্টমেন্টে ফেল আসছে বেশি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, কলেজ শিক্ষকরা পড়িয়েছেন এক নিয়মে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্ন করেছে অন্য নিয়মে। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের অবহেলা ও সামঞ্জস্যতার অভাবে অনেকের ফল খারাপ হয়েছে বলে আমার মনে হয়।

ইডেন কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার বলেন, আমার পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আমি ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট। আমাদের ডিপার্টমেন্টে অধিকাংশই পাস করেছে। তবে আমাদের কলেজে ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞানসহ বেশকিছু সাবজেক্টে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। কারণ, পর্যাপ্ত শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সামঞ্জস্যের অভাবে এমনটা হয়েছে।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, পরীক্ষার খারাপ ফল হওয়ার কোনো কারণ নেই। মূলত শিক্ষার্থীদের সচেতনতার অভাবে খারাপ ফল হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সিলেবাস সময়মতোই দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়মে পরীক্ষা দিযে আসছিল তারা হয়তো সেভাবে ভাবছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষা, সেটি একটু ভিন্নধর্মী হবে, এটাই স্বাভাবিক। এটা উচ্চমানের একটা বিষয়। এছাড়া প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হবেই। আশা করি, পরের বছর থেকে এটি কেটে যাবে। ইনশাআল্লাহ, শিক্ষার্থীরা আরো ভালো করতে পারবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে। সে নিয়মের মধ্য দিয়ে পরীক্ষা ও ফলাফলও হয়ে থাকে। এর মধ্যে কেউ কেউ ফেল করেছে বা খারাপ ফল করেছে। সেটি মেনে নিতে হবে। কারণ, এসব পরীক্ষার অংশ।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মে ২০১৮/ইয়ামিন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ