ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রিজার্ভের অর্থ চুরির পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে: অর্থমন্ত্রী

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রিজার্ভের অর্থ চুরির পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে: অর্থমন্ত্রী

সংসদ প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। রিজার্ভের অর্থ চুরি সম্পর্কে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, ‘প্রমাণাদিসহ যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করার জন্য ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি আইসি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে আমাদের পক্ষে মামলা দায়ের করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমরা এ মামলা দায়ের করতে পেরেছি।

মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে তিনশ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আর্থিক খাতে ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ব্যবস্থাপনাও বাংলাদেশ ব্যাংক করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভটি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সংরক্ষণ করা হয়। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের রিজার্ভ এখানেই সংরক্ষণ করা হয়।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রিজার্ভ চুরির বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সরকার চুরির অর্থ উদ্ধার, চুরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ এবং ভবিষ্যৎ চুরিরোধে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তিনি দ্রুত সরকারের কাছে একটি তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশের সিআইডিকে এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলমান। ড. ফরাস উদ্দিনের রিপোর্টটি যাতে এ তদন্তে প্রভাব না ফেলে, এ জন্য তা প্রকাশ করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ চুরির বিষয়টি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং এর সঙ্গে বিদেশী একাধিক প্রতিষ্ঠান জড়িত রয়েছে। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ইউএস-এর এফবিআই এবং ফিলিপাইন সরকার তদন্তে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় শ্রীলংকা থেকে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা হয় এবং ফিলিপাইন থেকে ১৪ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত আনা হয়েছে। বাকি ৬৬ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই নিজ দেশে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং ফিলিপাইনে এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জানুয়ারি ২০১৯/আসাদ/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়