ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘সাগরের তল থেকে মহাকাশে বাংলাদেশের মর্যাদা উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত’

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ৬ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘সাগরের তল থেকে মহাকাশে বাংলাদেশের মর্যাদা উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক, জাতীয় সংসদ থেকে : ‘এখন সাগরের তলদেশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত বাংলাদেশের মর্যাদা উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছি। বাংলাদেশ তথা বাঙালিকে কেউ দাবায় রাখতে পারেনি, পারবেও না। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’

বুধবার দশম জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী ও জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালে যখন সরকর গঠন করি, তখন দেখি বাজেটের একটি পয়সাও গবেষণার জন্য বরাদ্দ নাই। গবেষণাটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই হতো। যতটুকু তাদের রুটিন কাজ ততটুকই তারা করতেন। এ-ই ছিল গবেষণার পরিস্থিতি। আমরা প্রথম উদ্যোগ নিলাম আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। সেই সফলতা অর্জন করেছি।

‘পৃথিবীর বহু দেশ অনেক আগেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ ব্যাপারে কখনো চিন্তাও করে নাই যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা যাবে। যখনই যেটা আধুনিক হবে, সময়োপযোগী হবে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেটা যেন গ্রহণ করতে পারি। স্যাটেলোইটের ব্যাপারে একটা কথা আছে, যেহেতু একটা স্যাটেলাইটের আয়ুষ্কাল ১৫ বছর, কাজেই আমাদের পরবর্তী স্যাটেলাইট অর্থাৎ স্যাটেলাইট-২ প্রস্তুতের সময় চলে আসবে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি স্যাটেলাইট প্রস্তুত যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্যাটেলাইট-২ তৈরি করতে ৫-৬ বছর লেগে যাবে। যেহেতু ১৫ বছর আয়ুষ্কাল, খুব স্বাভাবিকভাবেই একটা জিনিস ৫-৬ বছর চলার পর ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। কাজেই স্যাটেলাইট সুবিধা পেতে যেন কোনোরকম সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আমাদের কাজ শুরু করে দিয়েছি। স্যাটেলাইট-২ নির্মাণে এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সেটার টাইম যখন শেষ হয়ে আসবে তখন স্যাটেলাইট-৩ এর দিকে অগ্রসর হব।’

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মালিকানা বাংলাদেশ সরকারেরই, এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা এর মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা দেশকে ভালোবাসে না, স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। তারা এক ধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলে। এ ধরনের অর্বাচীনের মতো কথা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য না। বাংলাদেশ তথা বাঙালিকে কেউ দাবায় রাখতে পারেনি, পারবেও না। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব মানুষ খুশিতে উদ্বেলিত, দেশে-বিদেশে সব জায়গায় জয় বাংলা স্লোগানে উদ্বেলিত। যখন উৎক্ষেপণ হলো, খুশিতে আমরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। পৃথিবীর কোনো দেশেই এভাবে খুশিতে উদ্বেলিত হতে দেখা যায়নি। যখন সব মানুষ এতো খুশি তখন বিএনপির কেন দুঃখ?’

তিনি আরো বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশকে মহাকাশে নিয়ে যেতে পেরেছি। এখন সাগরের তলদেশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত বাংলাদেশকে মর্যাদার উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছি।

শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, না বলা কথাটি রবে না গোপনে।

ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইট-১ যখন কাজ শুরু করে দেবে তখন আর কোনো সমস্যা হবে না, আমি এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। সারা দেশে যেসব অঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবল লাইন দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় এখনো কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারছে না, স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সেসব অঞ্চল ইন্টারনেট সুবিধা পেয়ে যাবে। দুশ্চিন্তার কিছু নাই। চিন্তা করার দরকার নাই।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ জুন ২০১৮/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়