ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মাদকের মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ৩০ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাদকের মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকের পৃথক দুই মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

রোববার বিকেলে ঢাকার পরিবেশ আপীল আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধূরী মামলা দুটির রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলার ইটাগাছা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আশিকুজ্জামান ওরফে ফারুক (২৫), একই জেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ইমান আলী মোড়লের ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (৩০), যশোর জেলার কোতয়ালী থানার চাচড়া রায় পাড়া গ্রামের কাজী আব্দুল হাই এর ছেলে কাজী মোস্তাফিজুর রহমান (৩৮), একই জেলার ওই থানার বাহাদুরপুর স্কুল পাড়ার মঞ্জু গাজীর ছেলে মো. জহির গাজী (২৬) এবং ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানার লেগু বুনিয়া উত্তর পাড় গ্রামের মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো. সুজন ওরফে সুজন হাওলাদার। দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেকেই জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

এদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড  দেওয়া হয়েছে।

আর পরের দুইজনকে ৭৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের মামলায় দণ্ড দেওয়া হয়। এদের দুইজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা ইস্যু করা হয়েছে। এদিকে মালখানার ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জব্দ করা ফেনসিডিল ধ্বংস করার জন্য মালখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৪০০ বোতল ফেনসিডিল মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৬ জুলাই রাতে শাহ আলী থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার সময়ে সংশ্লিষ্ট থানার দিয়াবাড়িতে একটি ট্রাকে অভিযান চালিয়ে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ডিবির এসআই শাহিদ মাহমুদ পরদিন বাদী হয়ে শাহ আলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৪ আগস্ট ডিবির এসআই আলমগীর ভূঁইয়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটির বিচার কাজ চলাকালে অভিযোগপত্রভুক্ত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

আর ৭৫ বোতল ফেনসিডিল মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ জুলাই র‌্যাব-১০ এর রফিকুল ইসলামসহ ফোর্স বংশাল থানা এলাকার নর্থসাউথ রোডের হোটেল আল রাজ্জাকের সামনে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ৭৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। পরদিন রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বংশাল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে বংশাল থানার এসআই রফিকুল আলম ওই বছরের ১৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল। এ মামলায় নয় সাক্ষীর মধ্যে সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ এপ্রিল ২০১৭/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ