ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতিতে শক্তিশালী সিন্ডিকেট : হাইকোর্ট

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২২, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতিতে শক্তিশালী সিন্ডিকেট : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসিক ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহানসহ তিনজনের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির সময় আদালত বলেছেন, বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির পেছনে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করেছে। ব্যাংকের  সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু নিজেই বলেছেন যে, এই ঋণ জালিয়াতির পেছনে একটি সিন্ডিকেট জড়িত।

আদালত আরো বলেন, ব্যাংকে লুটপাটের বিষয় খুবই শক্তভাবে দেখা দরকার। আর্থিক অপরাধের বিষয় খুবই নিষ্ঠার সঙ্গে দেখা উচিত। তা নাহলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়া আদালত দুদকের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে বিশেষ করে অভিযোগপত্র দিতে দেরি হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন।

বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

পরে আদালত বেসিক ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহানসহ তিনজনের শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

জামিনপ্রাপ্ত অপর দুইজন হলেন ব্যাংটির গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক শিপার আহমেদ এবং ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সেলিম। চার মামলায় ফজলুস সোহানের এবং দুটি করে মামলায় অপর দুইজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়। আদালতের কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে এবং আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন না- এ শর্তে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।

আদালতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ও ড. শাহদীন মালিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব, একেএম ফজলুল হক ও কামাল আমরুহী।

জামিন আবেদন মঞ্জুর করার আগে আদালত আরো বলেন, বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদক পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে। এরপর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৫৬টি মামলা করে দুদক। মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৬ জন কর্মকর্তাসহ মোট একশ ৫৬ জনকে আসামি করা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তার বাইরে অপর আসামিরা ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তবে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু এবং ব্যাংটির পরিচালনা পর্ষদকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিষয়টি আদালতের নজরে আসার পর এনিয়ে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরবর্তী সময়ে আবদুল হাই বাচ্চুর বক্তব্য জানতে চেয়ে দুদক তাকে নোটিশ দেয়। এ নোটিশের পর আবদুল হাই বাচ্চু দুদকে হাজির হন। দুদক এরইমধ্যে তাকে দু’দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ ডিসেম্বর ২০১৭/মেহেদী/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়