ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘একুশের প্রকাশনা অনেক বেশি দরকার’

32,36 || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘একুশের প্রকাশনা অনেক বেশি দরকার’

আরিফ সাওন ও আবু বকর ইয়ামিন : ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি...।’

না, কোনোভাবেই ভোলা যাবে না এই দিনটির কথা। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস, বাঙালি ও বাংলা ভাষার ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এ ছাড়াও দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

ভাষা আন্দোলন আর ভাষা শহীদদের স্মরণে বাংলা একাডেমিতে চলছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এখনো যারা গ্রন্থমেলায় আসেননি তাদের অনেকেই এই দিনটিতে মেলায় ভিড় জমাবেন বলে আশা করছেন আয়োজক-লেখক-প্রকাশকরা। তারা এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন। দিবসটিতে রেকর্ডসংখ্যক নতুন বই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

লোক সমাগমের কথা চিন্তা করে মেলা প্রাঙ্গণে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছুটির দিন ও শহীদ দিবসে সবার জন্য মেলা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে সকাল ৮টায়। মেলা খোলা থাকবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

প্রকাশনা সংস্থা আগামী এবার মেলায় প্রকাশ করেছে রফিকুল ইসলাম রচিত ‘একুশের শহীদেরা, বাংলা ভাষার শহীদেরা’ ও ‘অমর একুশে ও শহীদ মিনার’। অবসর প্রকাশ করেছে সৌরভ সিকদারের ‘বাংলা ভাষা বাংলাদেশের ভাষা’, বসুন্ধরা প্রকাশ করেছে অপরেশ বন্দোপাধ্যায়ের ‘ভাষা আন্দোলনের কথা’ এবং অরূপ তালুকদার ও মিন্টু বসু রচিত ‘আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’, নালন্দা প্রকাশ করেছে এম আর মাহবুবের ‘একুশের স্মারক’, অনিন্দ্য প্রকাশ করেছে ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিকের ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন : ইতিহাস ও অনুষঙ্গ’ ১ম, ২য় ও ৩য় খণ্ড  ইত্যাদি।

একুশের চেতনায় ঋদ্ধ গ্রন্থমেলায় একুশের প্রকাশনা এত কম কেন, জানতে চাইলে প্রকাশনা সংস্থা তাম্রলিপির স্বত্বাধিকারী এ কে তারিকুল ইসলাম রনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন ও একুশ নিয়ে আমরা অনেক বেশি বই প্রকাশ করতে চাই, কিন্তু পাণ্ডুলিপি পাচ্ছি না। পাণ্ডুলিপির সংকটেই একুশের  গ্রন্থমেলায় একুশের প্রকাশনা যৎসামান্য।’

তরিকুল ইসলাম রনির কথার সূত্র ধরে বাঁধন পাবলিকেশন্সের স্বত্বাধিকারী শেখ শাহারুল আলম শাহীও জানালেন পাণ্ডুলিপি সংকটে তারা একুশ ও ভাষা নিয়ে বেশি বই প্রকাশ করতে পারছেন না।

একুশের গ্রন্থমেলায় একুশ ও ভাষার বইয়ের প্রকাশনার স্বল্পতা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ভাষা সংগ্রামী ও লেখক আহমদ রফিক বলেন, ‘লেখকরা কম লিখছেন আর প্রকাশকরা কম প্রকাশ করছেন বলেই মেলায় ভাষা আন্দোলনের বই কম। লেখক ও প্রকাশকদের মাঝে একুশ নিয়ে গভীর মমত্ববোধ নেই বলেই প্রকাশনার দিকে ভাষা আন্দোলন পিছিয়ে রয়েছে। সমগ্র জাতির কাছে ভাষা আন্দোলন ও একুশের তাৎপর্য তুলে ধরতে হলে একুশের প্রকাশনা অনেক বেশি দরকার।’

সোমবারও গ্রন্থমেলা ছিল একুশের চেতনায় উদ্ভাসিত। মেলায় নেমেছিল মানুষের ঢল। রাত পর্যন্ত মানুষের ভিড় ছিল মেলা চত্বরে। বিকেলের সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ার পর দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি, বাংলা একাডেমি থেকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান- সর্বত্রই ছিল জনস্রোত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/সাওন/ইয়ামিন/সাইফুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়