ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

ইকবাল হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ১৩ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নেত্রকোনার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জেলার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, বারহাট্টা ও সদর উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুর্গাপুর উপজেলার সাত ইউনিয়নই প্লাবিত হয়েছে। এখানে ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমেশ্বরী, আত্রাই ও কংশ নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বহু পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

সদর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালেব সরকার জানান, তার ইউনিয়নে ১০টি গ্রামের বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে পার্শ্ববর্তী পুর্বধলা উপজেলার নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ময়মনসিংহ-জারিয়া রেলপথের জারিয়া-ঝাঞ্জাইল অংশে পানি রেল লাইনের কাছে চলে আসায় ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, বন্যায় উপজেলার তিন শতাধিক হেক্টর জমির রোপা আমন এবং সবজি পানিতে তালিয়ে গেছে।

দুর্গাপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মন্তোষ দেবনাথ বলেন, ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। দুর্গাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারিছা বেগম জানান, পানি প্রবেশ করায় ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।

দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক খান জানান, তেরী বাজার ফেরিঘাট, সাধুপাড়াসহ শশ্মানখলা পর্যন্ত সোমেশ্বরী নদীর পৌরশহর রক্ষা বাঁধের অনেকগুলো ব্লক নদী গর্ভে চলে গিয়ে পৌর শহর হুমকির মুখে পড়েছে। শিবগঞ্জ বাজার থেকে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের প্রধান সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। উপজেলার ৭০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি রয়েছে।



রাইজিংবিডি/নেত্রকোনা/১৩ আগস্ট ২০১৭/ইকবাল হাসান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়