ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২১, ২৮ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি বলেছেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী তারাই তরীকতবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী। তারাই এ দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে তারা আবারও তৎপর।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের ‍অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, জিয়া পরিবার এখন ইতিহাস মাত্র। সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া যেমন রাজনৈতিক দলের প্রধান হতে পারেন না, তেমনই দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতাও হারিয়েছেন। তাই দেশের মানুষ আর কোনোদিন খালেদা জিয়া কিংবা জিয়া পরিবারকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না।

তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামায়াত হেফাজতিরা আবারও দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত। তাদের বিরুদ্ধে সরকার সতর্ক থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।

দেশ ও জাতির স্বার্থে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আবারও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন দেশপ্রেমিক সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে তরীকতের নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান বিটিএফের চেয়ারম্যান।   

৩ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশসহ ৫ মাসে ৭ দফা কর্মসূচি :

তরীকত ফেডারেশনে জাতীয় সম্মেলনে ৫ মাসে ৭ দফা সাংগঠনিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব ড. রেজাউল হক চাঁদপুরী।

রেজাউল হক বলেন, ৫ মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। আশা করি, নেতাকর্মী আপনারা কর্মসূচি সফল করবেন। ৫ মাসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৩ অক্টোবর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ। ১১ মে থেকে ১০ জুন মাসব্যাপী সাংগঠনিক মাস ও সদস্য সংগ্রহ অভিযান। এ সময়ের মধ্যে প্রত্যেকটি জেলা উপজেলায় ইফতার মাহফিল, আলোচনা সভা ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। ৩০ মে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে কেন্দ্রীয় ইফতার মাহফিল। ৩১ জুলাই দেশের সকল জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও থানাসহ তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন। আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের তালিকা ৩১ জুলাই এর মধ্যে নিজ নিজ জেলা থেকে কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাতে হবে।

তরীকতের মহাসচিব বলেন, দেশের প্রত্যেকটি দরবার, খানকাতে আমাদের যেতে হবে। সারা দেশের তরীকতপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তাহলে তরীকত ফেডারেশন শক্তিশালী হবে। তখন দেখবেন এই সংসদই হবে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সংসদ।

জাতীয় সম্মেলনে জেলা নেতারা আগামী নির্বাচনে তরীকত ফেডারেশনকে কমপক্ষে ৭টি আসন এবং দলের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে মন্ত্রী করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকীর সঞ্চালনায় তরীকত ফেডারেশনের সম্মেলনে প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ হাবিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সৈয়দ আবু রাজ্জাক হায়দারী, আল্লামা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, শাহসূফি সৈয়দ কামাল নূরী আল সুরেশ্বরী, সৈয়দ মাহতাবুল বশর মাইজভান্ডারী, মাওলানা জাকির হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজালাল উদ্দিন বকশী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, অধ্যাপক ড. আহসানুল হাদি, অধ্যাপক ড. আব্দুল কাদের, ডা. সৈয়দ আবু দাউদ মসনবী হায়দার, সৈয়দ মুতাওয়াক্কিল বিল্লাহ রাব্বানী, সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, সেলিম মিয়াজী, শাহ আলী হোসাইন, অধ্যাপক আমিনুল হক, মুজিবুর রহমান মানিকসহ জেলা নেতারা বক্তব্য রাখেন। তবে কিছু দিন আগে মহাসচিবের পদ থেকে অপসারিত তরীকতের নেতা লায়ন এম এ আউয়াল এমপি সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ এপ্রিল ২০১৮/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়