ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

রাজপথে নামলেন ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজপথে নামলেন ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে এবার মাঠে নামলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রাজপথে নামেন তারা। এ সময় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর আউয়াল মিন্টু, মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।

বিএনপির এই নেতারা হেঁটে নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয় থেকে কাকরাইল নাইটঙ্গেল মোড় পর্যন্ত যায়। পরে তারা গাড়িতে করে আদালতের উদ্দেশে রায় শুনতে যান।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ জনস্রোতে আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি করছি। সেখানে আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা করেছে।’

‘সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মামলায় দেশনেত্রীকে হেনস্তা করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। রায়ে কী হবে জানি না। আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

মগবাজারের কাছে নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে এগিয়ে নেওয়ার খবর জানার পরপরই মির্জা ফখরুলসহ নেতারা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে পড়েন।

খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ। রায় শুনতে আদালতের পথে রয়েছেন বিএনপি প্রধান।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ অস্থায়ী আদালতে এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ১৬ কার্যদিবসে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন আদালত।

২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর মামলাটিতে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। ওই দিন দুদকের পক্ষে দুই ঘণ্টা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে তা শেষ করা হয়। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০টি ধার্য তারিখে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। কারাগারে থাকা আসামি শরফুদ্দিন আহমেদ ও সলিমুল হক কামালের পক্ষে ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচটি ধার্য তারিখে যুক্তি উপস্থাপন শেষে ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়।

আদালতের নথির হিসেবে অনুযায়ী, মামলাটি বিচারিক আদালতে আট বছর পাঁচ মাস ২৬ দিনে মোট ২৩৬টি ধার্য তারিখ পর রায় হচ্ছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রেজা/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়