ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

গ্রেফতার শতগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে : নোমান

রেজা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫১, ২৬ নভেম্বর ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রেফতার শতগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে : নোমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি সমর্থিত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও দলের কর্মীদের গ্রেফতার শতগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।

 

জনগণ সঙ্গে নেই, সেজন্য পুলিশ দিয়ে ‘অরাজনৈতিক’ প্রক্রিয়ায় সরকার নির্বাচনী ষড়যন্ত্র করছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

 

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নায়ক ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ডা. মিলন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব।

 

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বিএনপির হাজার-হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়েছে। এখন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে তা শতগুণে বেড়ে যাচ্ছে। যারা বিএনপির প্রতিনিধি হবে বা দলের জন্য কাজ করবে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কেউ বাড়িতে থাকতে পারছেন না। জনগণ সঙ্গে না থাকায় পুলিশ দিয়ে অরাজনৈতিকভাবে সরকার নির্বাচনী ষড়যন্ত্র করতে চাইছে।’

 

প্রয়োজনীয় সময়ে আগেই পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। পৌর নির্বাচনেও অংশ নিতে চায়। কিন্তু সরকার হঠাৎ করে পৌর নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এই নির্বাচনে কমপক্ষে ৪৫ দিন সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এবার তা দেওয়া হয়নি। ৩৫ দিনের মাথায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ষড়যন্ত্র করতেই সরকার স্থানীয় নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের প্রতীক ঢুকিয়ে দিয়েছে।

 

তিনি বলেন, ‘এই  সংসদ, সরকার নৈতিকভাবে বৈধ নয়। তাদের কার্যক্রমও বৈধ বলে আমি মনে করিনা। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, উপজেলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের নির্বাচন কোনটাই নির্বাচন হয়নি। জনগণ যেখানে ভোট দিতে পারবে না, তার ব্যালট প্রয়োগ করতে পারবে না, সেখানে ব্যালটবিহীন নেতৃত্ব বা প্রতিনিধিত্ব কীভাবে হতে পারে?’

 

ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেন নোমান।

 

দেশে পুলিশি শাসন চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তার নেতাকর্মীদের বিশ্বাস করেনা। কারণ তারা দেখছে, এই নেতাকর্মীরা নিজের আখের গোছানোয় তৎপর। তারা লুটপাটের রাজত্ব প্রশাসন দিয়েও কমাতে পারছেনা। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ও দুর্নীতিতে ভারাক্রান্ত।’

 

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে শুধু রাজনৈতিক সংকট নয়, অর্থনৈতিকভাবেও অনেক বেশি সংকটে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা দেশের ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ না নিয়ে বিদেশ থেকে দুই থেকে শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করছে। যা তিন বছর পরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ফরেন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সুদ দিতে হবে। তাহলে দেখা যাবে, দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। যে রিজার্ভের কথা বলা হচ্ছে, তখন সেই রিজার্ভ শুধু টানই দেবে তা নয়, তলা খালি হয়ে যাবে।’

 

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, মিলনের আত্মাহুতির মধ্যদিয়েই জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়।

 

তিনি বলেন, ডা. মিলনের মতো এখনো অনেকে আছে। কিন্তু সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার কমিটমেন্ট ও সাহসের বড় অভাব। সেভাবে নেতৃত্ব দিতে পারলে এই সরকারকে হটানো কোনো ব্যাপারই না।

 

আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি ডা. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ড্যাব মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৫/রেজা/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়