ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত পুলিশ সদস্যদের নামে নামফলকের দাবি

এনআর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ৩০ জুলাই ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত পুলিশ সদস্যদের নামে নামফলকের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত পুলিশ সদস্যদের নামে তাদের এলাকায় নামফলক স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী।

শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের যুব সমাবেশে এ দাবি করেন তিনি। ‘সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, উগ্র ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদ রুখে দাঁড়াও যুবসমাজ’ শিরোনামে এ সমাবেশ হয়।

গুলশান ও কল্যাণপুরে জঙ্গিবাদবিরোধী সফল অভিযানের জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য নিহত হয়েছেন, তাদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হোক। শুধুমাত্র এমপি-মন্ত্রীদের নামে নামফলক হবে, যুবলীগ এটা মনে করে না। যুবলীগ মনে করে, যেসব পুলিশ সদস্য জঙ্গিবিরোধী অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের নামে তাদের এলাকাভিত্তিক নামফলক করতে হবে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্ম-বর্ণ-জাত নির্বিশেষে- অসাম্প্রদায়িক বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এই বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই প্রত্যেয়ের বুকে প্রাতিষ্ঠানিক ছুরিকাঘাত কে করেছিলো? পদে পদে বাংলা ও বাঙালিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা কে করেছিল? ধর্মকে ব্যবহার করে কী করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হয়, তার প্রকৃত উদাহরণ কে- জিয়াউর রহমান। নাগরিকত্ব বাতিল করার পরও একাত্তরের শীর্ষ দালাল বাংলাদেশের শত্রু গোলাম আযমকে ফিরিয়ে এনে রাজনীতিতে পূর্ণবাসন করেছিল কে- জিয়াউর রহমান। এই গোলাম আজমের জামায়াত শিবির একাত্তরে সরাসরি গণহত্যায় অংশগ্রহণ করেছিল। আরেক শীর্ষ দালাল শাহ আজিজকে করেছিল প্রধানমন্ত্রী। এই শাহ আজিজ জাতিসংঘে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে সাফাই গেয়েছিল। বলেছিল, মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের জারজ। এই জিয়াউর রহমান, তার শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে প্রাতিষ্ঠানিক অর্জন ছিল তার সবই ভুলুষ্ঠিত করেছিল। এই পাকিস্তানি শাসক জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে এক বৈঠকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের কথা বলেছিল।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে, এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে ওমর ফারুক চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। জঙ্গীবিরোধী জাতীয় ঐক্যমত আজ ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছে। যে দেশে বাবা-মাও নিহত জঙ্গি সন্তানের লাশ গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করেন, সেই দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার কারণ নেই।
 
বাংলাদেশে এ যাবৎ যত জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছে, তা ঘটিয়েছে দেশি জঙ্গিরাই। কেউ কেউ আইএস আমদানি করে। আইএস নাকি ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে চায়। তারা ইসরায়েলে হামলা করে না। এতে বোঝা যায়- এই আইএস কারা গঠন করেছে? বাংলাদেশে যত জঙ্গি সংগঠন, সবই জামাত-শিবির-বিএনপির বেনামে গড়া। তাই এদের অর্থায়নকারী ইসলামী ব্যাংকসহ যেসব ব্যাংকে জামায়াতী চেয়্যারম্যান ডিরেক্টর আছে এবং বিএনপি-জামায়াতের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে বন্ধ করতে হবে।

যুব সমাবেশে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের শপথ বাক্যও পাঠ করান সংগঠনের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রেরণাদায়ী গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম এমপি।

যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খাঁন নিখিলের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসাইন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান হিরণ, আতাউর রহমান আতা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক এ আরাফাত, মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।

সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।

 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জুলাই ২০১৬/এনআর/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়