ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

প্রাথমিক সমাপনীর ৫৫০০ খাতা উধাও

একে আজাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৬, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রাথমিক সমাপনীর ৫৫০০ খাতা উধাও

ফাইল ফটো

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় গুদাম থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সাড়ে পাঁচ হাজার খাতা (উত্তরপত্র) রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় ডায়রি করার পাশাপাশি তিন সদসের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় শিক্ষা অধিদপ্তর।

 

এদিকে খাতা উধাওয়ের বিষয়টি নজরে আসে ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদনের ফলে। 

 

শনিবার বিকেল ৫টার দিকে রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী।

 

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী-২০১৫ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর খাতাগুলো শিবগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গোডাউনে রাখা হয়। ওই গোডাউনের তালার একটি চাবি উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান এবং একটি চাবি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু রায়হানের হেফাজতে রাখা হয়।

 

৩১ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী-২০১৫ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যাদের ফলাফল আশানুরূপ হয়নি তাদের ২০০ টাকা মূল্যায়ন ফি জমা দিয়ে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করতে। সে অনুযায়ী বগুড়া জেলার ১২ উপজেলা থেকে এক হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। ১৯ জানুয়ারির মধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আবেদনকারীদের খাতাগুলো জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানোর শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং ২১ জানুয়ারি পুনর্মূল্যায়নের ফলাফল ঢাকায় পাঠানো শেষ তারিখ ছিল। বিভিন্ন উপজেলা থেকে খাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হলেও শিবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বেশ কিছু খাতা পাঠাতে ব্যর্থ হন। ফলে খাতা উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানতে পারেন। পরদিন তিনি সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার সাহাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন শেরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাউয়ুম ও কাহালু উপজেলা শিক্ষা অফিসার সারেয়ার হোসেন। তদন্ত কমিটি গত ২৫ জানুয়ারি ঘটনাস্থল তদন্ত করে জানতে পারেন উপজেলা শিক্ষা অফিসের তত্ত্বাবধানে শিবগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গোডাউনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর খাতা ২৮টি বস্তায় রাখা হয়। সেখান থেকে তিনটি বস্তা উধাও হয়ে যায়। উধাও হওয়া তিনটি বস্তায় সাড়ে ৫ হাজার খাতা ছিল বলে তদন্ত কমিটির প্রধান জানান।

 

তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার সাহা আরো জানান, গোডাউনের তালা অরক্ষিত দেখা গেছে। কীভাবে তিন বস্তা খাতা উধাও হয়ে গেল- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে টিনের চাল কেটে দুর্বৃত্তরা চুরি করে নিয়ে যেতে পারে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষক বলেছেন, গোডাউনের টিনের চালা কাটা নেই।

 

উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমানকে এ বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া তদন্ত কমিটি রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত করছে। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/বগুড়া/৩০ জানুয়ারি ২০১৬/একে আজাদ/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়