ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

প্লাস্টিকের বোতলে থাকা নম্বরের অর্থ জেনে নিন

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১০, ২৮ মে ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্লাস্টিকের বোতলে থাকা নম্বরের অর্থ জেনে নিন

প্রতীকী ছবি

মনিরুল হক ফিরোজ : দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের বোতল বা পাত্র ব্যবহারে আমরা সকলেই অভ্যস্ত। পানির বোতল, সফট ড্রিংকের বোতল, টিফিন বাক্স, আইসক্রিম বাক্স, সিরাপ জাতীয় ওষুধের বোতল, জগ, মগ, পেয়ালাসহ প্রভৃতি কিছু প্লাস্টিকের হয়ে থাকে।


অর্থাৎ প্লাস্টিকের পাত্র প্রতিনিয়ত আমাদের কোনো না কোনোভাবে ব্যবহার করা লাগেই। কিন্তু কখনো কী খেয়াল করেছেন, প্লাস্টিকের পাত্রে লেখা থাকা বিভিন্ন লেখাগুলোকে। বিশেষ করে প্লাস্টিকের বোতল বা পাত্রের তলায় কিংবা নিচের দিকে থাকা ত্রিভুজ চিহ্নটিকে?


প্রতিটি প্লাস্টিকের পাত্রের তলায় কিংবা নিচের দিকে খেয়াল করলে দেখবেন, ত্রিভুজ চিহ্নটির ভেতরে বিভিন্ন নম্বর লেখা রয়েছে।

 

 

এই নম্বরগুলো আসলে ওই প্লাস্টিকের মান নির্ধারণ করে। অর্থাৎ প্লাস্টিকের পাত্রটি কতখানি নিরাপদ বা অনিরাপদ, তা ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে থাকা নম্বরটির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

 

সুতরাং জেনে নিন, প্লাস্টিক পণ্যে থাকা ত্রিভুজ চিহ্নটির মধ্যে থাকা কোন নম্বর কী অর্থ প্রকাশ করে।

 

 

ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে ‘১’ নম্বর লেখা দেখলে বুঝবেন, প্লাস্টিক পাত্রটি পলিথিলিন টেরেফথালেট (পেট) দিয়ে নির্মিত। বোতলবন্দি পানি এবং সফট ড্রিংকের বোতল এটা দিয়েই তৈরি। একবার ব্যবহারের জন্য এসব প্লাস্টিকের বোতল নিরাপদ। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই এসব বোতল ব্যবহার করুন। এবং গরম স্থানে এসব বোতল রাখবেন না। এসব বোতলের গায়ে দেখবেন লেখা রয়েছে, ব্যবহারের পর তা ধ্বংস করে ফেলার জন্য।

 

 

ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে ‘২’ নম্বর দেওয়া থাকলে বুঝবেন, এটি উচ্চ ঘনত্বের পলিথিন দিয়ে তৈরি। শ্যাম্পুর বোতল এবং ডিজারজেন্ট ঘরানার প্যাকেট তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়।

 

 

ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে ‘৩’ নম্বর লেখা দেখতে বুঝবেন, এই ধরনের প্লাস্টিক ব্যবহার না করার জন্য এটি একটি সতর্কতাসংকেত। কারণ ‘৩’ নম্বর লেখা প্লাস্টিকগুলো পলিভিনাইল ক্লোরাইড বা পিভিসি দিয়ে তৈরি, যা থেকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কয়েক ধরনের খাবারের আইটেমের পাত্র এ ধরনের প্লাস্টিকের অন্তর্ভুক্ত। যেমন, চিনাবাদাম, মাখনের বয়াম প্রভৃতি। এ ধরনের প্লাস্টিকের পাত্রে কোনো গরম খাবার রাখবেন না।

 

 

ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে যদি ‘৪’ নম্বর লেখা দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই প্লাস্টিকটি রিইউজেবল বা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। শপিংয়ের সময় যে প্লাস্টিকের ব্যাগ দেওয়া হয় তা এ ধরনের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি।

 

 

ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে যদি ‘৫’ নম্বর লেখা দেখেন, তাহলে বুঝবেন এই প্লাস্টিকের পাত্র ক্ষতিকারক নয়। সম্পূর্ণ নিরাপদ। আইসক্রিম বক্স, সিরাপ বোতল অর্থাৎ এ ধরনের বিভিন্ন খাবার ও ওষুধ রাখা হয় এ ধরনের প্লাস্টিকে।

 

 

ত্রিভুজ চিহ্নের মধ্যে যদি ‘৬’ কিংবা ‘৭’ নম্বর দেখেন তাহলে বুঝবেন এই প্লাস্টিক পণ্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এ ধরনের প্লাস্টিক পণ্য পলিস্টেরিন কিংবা পলিকার্বোনেট বাইস্ফেনল-এ (বিপিএ) দিয়ে তৈরি। যা মানবদেহের ক্ষতিসাধন করে। ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। সাধারণত প্লাস্টিকের চামচ, প্লাস্টিকের কাঁটাচামচ ইত্যাদি পণ্য তৈরি হয় এ ধরনের প্লাস্টিকে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মে ২০১৬/ফিরোজ/ এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়